ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা উদ্বোধন

রপ্তানি আয়ে পোশাক শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে আইটি: জয়

ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ ৮২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। এতে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় -ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ডিজিটাল গভর্ন্যান্সে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় দ্রম্নতই তৈরি পোশাক শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে। জয় বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছে। শিগগিরই রপ্তানিতে এই খাত তৈরি পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। দেশের চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ মোবাইল ফোন দেশেই তৈরি হচ্ছে জানিয়ে জয় বলেন, ডিজিটাল বিশ্বে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এদিকে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তিসহ (ফাইভ জি) দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো শুরু হলো তিন দিনের মেলা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বৃহস্পতিবার সজীব ওয়াজেদ জয় 'ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা' উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী পর্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকার জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেওয়া হয়। তিন দিনে বিভিন্ন বিষয়ে ১৩টি আলোচনা সভা হবে, যেখানে সরকারের মন্ত্রী ও দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক' প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত মেলার উদ্বোধনীতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুলস্নাহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর উর রহমান, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেং জুন উপস্থিত ছিলেন। আগের দিন বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, মেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স বিগডেটা, বস্নকচেইন এবং ফাইভ জির বিস্ময়কর প্রভাব প্রদর্শন করা হবে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল পেস্ন (এক কেবলে ফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন সংযোগ), মোবাইল অ্যাপ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি সেখানে প্রদর্শন করা হবে। জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া ও এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রদর্শন করবে মেলায়; বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টেলিমেডিসিন ও এটিএম সেবা দেখাবে। ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ (আইএসপি) ৮২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। এতে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। িি.িফরমরঃধষনধহমষধফবংযসবষধ.ড়ৎম.নফ ওয়েব লিংকে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করলে বিনামূল্যে মেলা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রবেশমুখেও রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় যাওয়া-আসার সুবিধার্থে দর্শনার্থীদের জন্য শাটল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ঢাকার উত্তরা, মালিবাগ, মতিঝিল, আজিমপুর ও মিরপুর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ও দুপুর ১টায় বাসগুলো মেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। মেলা শেষে দর্শনার্থীদের নিয়ে রাত ৮টায় বাসগুলো আবার ফিরতি রুট ধরবে।