শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৪৭
মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন -যাযাদি

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হওয়ায় সকাল ১০টা থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে। 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেলায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল পেস্ন (এক ক্যাবলে ফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন সংযোগ), মোবাইল অ্যাপ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া ও এরিকসন তাদের ফাইভজি প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টেলিমেডিসিন ও এটিএম সেবা দেখায় দর্শনার্থীদের। মেলায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টিভি ও মোবাইলসহ নানা পণ্য কিনেছেন দর্শনার্থীরা। এতে আইটি খাতের উদ্যাক্তারাও এসেছিলেন। মেলায় আসা দর্শনার্থী সায়হাম বলেন, 'মেলায় এসে পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভজি) মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারলাম। সরকারি বিভিন্ন সেবা কীভাবে নিতে হবে সেটাও জানতে পারলাম। এটা ভালো লাগার জায়গা।' আরেক দর্শনার্থী মানসুর হাদি বলেন, এ মেলা একটি ভালো উদ্যোগ। এখানে এসে প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারলাম। ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিকস, বিগডেটা, বস্নকচেইন ও ফাইভজির বিস্ময়কর প্রদর্শনী এ মেলায় উঠে আসছে। মেলায় ইন্টারনেট সংযোগদাতাসহ ৮২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এতে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে। আজ রাত ৮টায় মেলা শেষ হবে। এদিকে, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২০ এর 'উদ্ভাবক ও উদ্যাক্তো : ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের চালিকাশক্তি' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্র্যান্ডিং করতে কাজ করছি আমরা। এটা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরব, বাংলাদেশের অর্থনীতি আর দরিদ্র নয়। উদ্ভাবন হচ্ছে ইঞ্জিন অব গ্রোথ। এ উদ্ভাবন কখন কীভাবে আসে, সেটা বলা মুশকিল। আমাদের আরও উদ্যোক্তা দরকার। সরকার উদ্যোক্তাবান্ধব, কেউ যদি সরকারকে বোঝাতে পারে, এ উদ্যোগে ভালো, তাহলে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী সেটা সহজেই করে দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পানি ও মানুষ, এ দুটি জিনিস আমাদের বড় সম্পদ। এটি কাজে লাগাতে পারলে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, সিলেট দেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি। ৯৯৯-এ কল করলে ৩৪টি সেবা পাওয়া যায়। ৩৩৩-এ কল করলে জমির পর্চা পাওয়া যায়। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের নমুনা। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইকোনমিক ডিপেস্নাম্যাসি ও পাবলিক ডিপেস্নাম্যাসিতে এক্সপোর্ট, বিনিয়োগ, জনশক্তি তৈরিতে জোর দিয়েছি। স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারলে বদলে যাবে অর্থনীতি। তিনি বলেন, আমরা দূতাবাস অ্যাপস তৈরি করেছি। সেই অ্যাপসের মাধ্যমে ৩৪ ধরনের সেবা পাবে প্রবাসীরা। এটা উদ্ভাবনের ফলে কাজ সহজ হয়েছে। পাবলিক ডিপেস্নাম্যাসি স্বদেশ-বিদেশে যারা আছেন, তারা সরকারকে সহযোগিতা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেবাডটএক্সওয়াইজেডের প্রধান নির্বাহী আদনান ইমতিয়াজ হালিম। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহজডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির, পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী হুসাইন এম ইলিয়াস, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফায়েত আলম এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারস অ্যান্ড এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে