ডিমের দাম বাড়তি, সবজিতে স্বস্তি

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সবজি ডিম
সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অন্যান্য বাজার সেরে ডিম কিনে ফিরছিলেন ফার্মগেটের নাজমুল আহমেদ। তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ডিমের দামে তার একটু ক্ষোভ। কথা হলে তিনি বলেন, কী বলবো ভাই, এ দেশে ডিমের দামও যখন-তখন বেড়ে যায়। মাসখানেক আগেও প্রতি হালি ডিম কিনেছি ৩২ টাকায়। এখন সেটা ৩৮ টাকা। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ (খুচরা বাজার) হাতিরপুল বাজার ও মগবাজারের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বাজারে পণ্যের দাম ওঠানামা করছে দিনের ব্যবধানে। কিছু পণ্যের দাম কমেছে আবার কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে। কিছু পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। তবে সবজায়গাতেই চড়া ডিমের বাজার। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গত ডিসেম্বরেও ডিম বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৪ টাকা হালি। ওই মাসের শেষ ভাগে এসে ডিমের দাম বেড়ে হয় ৩৪-৩৬ টাকা। আর বর্তমানে প্রতিহালি ডিমের দাম ৩৮ টাকা। অর্থাৎ একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকা। এ ছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায়। ডিমের দাম বাড়ার কারণে ক্ষোভ ক্রেতাদের। তারা বলছেন, সমস্যা হলে একটা সময় ডিমের দাম বাড়তে পারে। তাই বলে ধারাবাহিকভাবে বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। তবে ব্যবসায়ীদের কথা, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন হচ্ছে না ডিম। ফলে দাম বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের ডিমের আড়তদার হাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, ডিমের উৎপাদন সেভাবে হচ্ছে না। সেই কারণে ডিমের দাম বাড়ছে। এদিকে সপ্তাহ এবং বাজারের ব্যবধানে ক্রেতাদের হাতের নাগালে এসেছে সবজির বাজার। বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। একইভাবে আগের দামে মাছ-মাংস বিক্রি হলেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। অপরিবর্তিত আছে চাল-ডালের বাজার। শনিবার বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৬০, নতুন আলু ৩০ থেকে ৩৫, পুরানো আলু ৩৫, পটল ৩০ থেকে ৫০, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০, করলা ৪০ থেকে ৪৫, পেঁপে ১৫ থেকে ২৫, গাজর হচ্ছে ৩০, টমেটো ৪০ থেকে ৪৫ এবং শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া আকারভেদে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ এবং লাউ ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম রয়েছে ৫ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে প্রতি আঁটি। এদিকে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিসরের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা গেছে বাজারে। আর দাম বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ক্রেতাদের দাবি, সব ধরনের সবজির দাম আরও কম হওয়া উচিত। শীত মৌসুমে সবজির ঘাটতি নেই। কিন্তু দাম কমছে না। ওবায়দুল ইসলাম নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, কাঁচামালের সঠিক দাম বলাটা কঠিন। যেদিন যে পণ্যের ঘাটতি থাকে, সেদিন সেটির দাম বেড়ে যায়। অনেকটা কাঁচামাল সরবরাহের ওপরই নির্ভর করে সবজির বাজার। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে মাছ ও মাংসের দাম। আর আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। খোলা সয়াবিন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা লিটার। চাল, ডাল, আদা, রসুন, সরিষার তেল, এলাচ, দারচিনি ধরে রেখেছে আগের মূল্যই।