ছিনতাইকারীর ‘কল্যাণ ফান্ড’

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ছিনতাইকারী চক্রের কোনো সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলে তার আইনি সহায়তার খরচ প্রয়োজন। কিংবা কোনো সদস্য গণপিটুনির শিকার হলে চিকিৎসাতেও প্রয়োজন আথির্ক সহায়তা। আর এসব সহায়তার কথা বিবেচনা করে একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসার প্রয়োজনে ছিনতাইকারীরাও গড়ে তুলেছেন কল্যাণ ফান্ড। রাজধানীতে পেশাদার ছিনতাইকারী একটি চক্রের এমনই ‘কল্যাণ ফান্ডে’র সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ইতোমধ্যে চক্রের আট সদস্যকে আটকসহ এই ফান্ডে জমা নগদ ৮ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আটকের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন। তিনি জানান, শুক্রবার থেকে শনিবার (২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর নিউমাকের্ট ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১২টি মোবাইল সেট, একটি চাপাতি, দুটি চাকু ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। আটকরা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাগর, আলী হাসান, সবুজ বিশ্বাস, রকি ওরফে নুরুজ্জামান, মুক্তা বেগম, বেবি আক্তার, নুপুর ওরফে ঝুমুর ও লিটন মিয়া। আব্দুল বাতেন বলেন, ছিনতাইয়ে গিয়ে চক্রের কোনো সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয় অথবা গণধোলাই খেয়ে যদি আহত হয়, তবে ওই ব্যাকআপ ফান্ড থেকে অথর্ নিয়ে তার মামলা পরিচালনা ও চিকিৎসার জন্য ব্যয় করা হয়। এ জন্য চক্রের সদস্যরা তাদের প্রতিদিনের ছিনতাই করা অথের্র একটি অংশ ওই ফান্ডে জমা রাখে। আটককৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের মধ্যে নারী সদস্যও রয়েছে। তারা একাধিক ছিনতাই মামলার আসামি, যাদের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে ৭-৮ বার কারাগারেও গেছেন। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টায় তারা ৮-১০টি মোবাইল ছিনতাই করতে সক্ষম। দীঘির্দন ধরে তারা ছিনতাই পেশায় জড়িত। তাদের পোশাক দেখে খুব ভদ্র মনে হলেও আসলে তারা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাদের এই চক্রের আরও সদস্য রয়েছে যাদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।