নৌকাতেই সচল হবে ঢাকা: আতিক

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এলাকায় গণসংযোগ করেন -ফোকাস বাংলা
নৌকাতেই সচল হবে ঢাকা। সুস্থ, সচল, গতিশীল ঢাকা গড়ে তুলতে হলে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। এমনটাই বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। শুরুতেই এক পথসভায় বক্তৃতাকালে আতিক এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পাশে গণভবন ইউনিট আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশের মাঠে ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়র পদপ্রার্থী এসে উপস্থিত না হলেও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের অর্ধশতাধিক নার্স ও ১৫-২০ জন চিকিৎসককে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তারা আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্স্নোগানে গলা মেলাচ্ছিলেন। মাঠের পাশে গাড়িতে স্স্নোগান ও সাউন্ড বক্সে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গান বাজতে থাকে। তিনজন নার্সের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদুর রহমান খান ইরানের সঙ্গে এসেছেন। তারা দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সে সময় তাদের নির্ধারিত কাজ (ডিউটি) ছিল না বলে তারা জানান। সাড়ে ১১টার কিছু সময় পর আতিকুল ইসলাম আসেন। এখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। কিছুক্ষণ উপস্থিত থেকে চিকিৎসক-নার্সরা চলে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হামিদা আক্তার, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনী সমাবেশে ডাক্তার ও নার্সদের উপস্থিত থাকার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি কোনো সময় বলিনি যে কেউ এখানে এসে আমার বক্তব্য শুনুক, আমার জন্য অপেক্ষা করুক। আমি এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে সময় দিয়েছি। এর আগে যারা এসেছেন তারা হয়তো মেডিকেলের শিক্ষার্থী, শিফটিং ডিউটি করে এসেছেন। তারা চাইলে আসতে পারেন, কিন্তু রোগী বাদ দিয়ে, এখানে এসে অপেক্ষা করবে, আমার ভাষণ শুনবে, এটা কোনো সময় কাম্য নয়। একে আমি স্বাগত জানাতে পারি না।' তিনি বলেন, 'আমার ভাই-বোন যদি কেউ আজ হাসপাতালে থাকে, আর ডাক্তার-নার্সরা সে কাজ বাদ দিয়ে এখানে আসে, তা কাম্য নয়। এটা আমি পছন্দ করি না। আমার দলও এটা পছন্দ করবে না।' আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনে এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে খাতা-কলমে কর সংগ্রহ করা হয়। এখনো পুরানো পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝাড়ু দিয়ে শহর পরিষ্কার করে। এই বিষয়গুলোর আধুনিকায়ন করা হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছি যাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রচার করা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। নির্বাচিত হলে আমরা পোস্টার লাগানো ও প্রচার কাজের জন্য দেয়াল নির্ধারণ করে দেব। এতে নগরকে সুন্দর রাখা যাবে।