ধানের শীষের গণজোয়ার শুরু হয়েছে: ইশরাক

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন শুক্রবার পুরান ঢাকার ফরিদাবাদ এলাকার মসজিদে জুমমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন -যাযাদি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, চারিদিকে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। শুক্রবার সিটির ৪৬ নং ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ (জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম) মাদ্রাসায় জুমার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচনী ইশতেহার কবে ঘোষণা করবেন জানতে চাইলে ইশরাক হোসেন বলেন, '২৭ জানুয়ারি আমার নির্বাচনী ইশতেহারের দিন ঠিক করেছি। এছাড়া আমি যে প্রত্যেকদিন কথা বলছি, বক্তব্য দিচ্ছি, আমার প্রতিপক্ষের লোকেরা বিন্দুমাত্র ধারণা রাখে না। আমি প্রত্যেকদিনই ঢাকাবাসীর জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু তারা হয়তো এগুলো শুনছে না। কারণ তারা তো ব্যর্থ। গত ১৩ বছর ধরে তাদের দল ক্ষমতায়, গত নয় বছর ধরে নগরের দায়িত্বে তারা আছে। কিন্তু তারা তো এখনও নগরের কোনো পরিবর্তন করতে পারেনি। আগামীতে আর কোনো ধরনের পরিবর্তন করতে পারবে বলেও মনে হয় না। তারা তো জবাব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করে না। কারণ তারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। সুতরাং তারা এই নগরের জন্য জনগণের জন্য কিছুই করতে পারবে না বলে আমরা মনে করি।' শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাদেক হোসেন খোকা দেশে মৃতু্যবরণ করতে পারেননি অভিযোগ করে ইশরাক বলেন, 'আজ (শুক্রবার) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পঞ্চম মৃতু্যবার্ষিকী। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। উনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন তাই তিনি দেশে মৃতু্যবরণ করতে পারেননি। তিনি মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ওনার পরিবারের দুঃখটা আমি খুব ভালো করে বুঝি। কারণ আমার বাবাও একই ধরনের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ওনাকেও এই বাংলাদেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে দেওয়া হয়নি। শুধু বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণে। আমি কিছু বলতে চাই না, জনগণ দেখছে, মহান আলস্নাহতায়ালা এগুলো দেখছেন। উনি যথা সময়ে এর বিচার করবেন।' তিনি বলেন, চারদিকে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। দুঃশাসনের বিপক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। এই দুঃশাসনের বিপক্ষে আপনারা আগামী পহেলা ফেব্রম্নয়ারি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষে ভোট দেবেন। এছাড়া এই জনস্রোত দেখে নির্বাচন এবং বিএনপির বিজয় বানচাল করার যে ষড়যন্ত্র অপচেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা কখনোই সফল হবে না। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো নোটিশ পেয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, 'আমি এমন ধরনের কোনো নোটিশ পাইনি। আমার আইনজীবী যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে। সেখান থেকে জানতে পারছি এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নোটিশ পাইনি।' ধর্মীয় উপাসনালয় উন্নয়নে আপনি কতটুকু কাজ করবেন, এমন প্রশ্নে ইশরাক বলেন, 'আমি আমার বাবার রাজনৈতিক আদর্শটাকে মনে-প্রাণে ধারণ করি। আমি বলতে চাই, আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশে বসবাস করি। অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিশ্বাস করি। দীর্ঘকাল ধরে ওই এলাকায় আমরা হিন্দু এবং মুসলমান একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এই জায়গায় আমরা কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে স্থান দিইনি। আগামীতেও দেবো না।' পরে ফরিদাবাদে দয়াল বাবা মোতালেব শাহ (রা.)-এর মাজার জিয়ারত করে ১৫তম দিনের প্রচারণা শুরু করেন ইশরাক। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে ৪৫ ও ৪০ নং ওয়ার্ড এবং ওয়ারী থানাধীন ৩৯নং ওয়ার্ডে প্রচারণা ও গণসংযোগ করেন বিএনপির এই প্রার্থী। এদিকে, তার সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নিতে সকাল থেকেই দলীয় কর্মী-সমর্থকরা বাংলাবাজার ও ফরিদাবাদ এলাকায় এসে জড়ো হন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।