প্রবীণদের বিশৃঙ্খলার ভয় চান ভোটের আলাদা লাইন

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
'ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নাই। গতবার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেছিলাম কয়েকজন বিশৃঙ্খলা করছিল। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি নিজেও হেনস্তার শিকার হয়েছি। মনের কষ্টে সেইবার ভোট না দিয়েই ফিরে এসেছিলাম।' ২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওই অভিজ্ঞতার পর আর কখনো ঢাকায় 'ভোট না দেওয়ার' সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে গিয়ে ভোটার হন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের এই বাসিন্দা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ১৯৯০ সাল থেকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টারে থাকেন। আগামী ১ ফেব্রম্নয়ারি ফের ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে তিনি বলেন, 'ভোট আমাদের কাছে উৎসবের মতো। কিন্তু কেন্দ্রে গিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখলে কষ্ট লাগে। ভোটের চেয়ে নিজের নিরাপত্তা বেশি জরুরি। ভোটে কে উঠল, আর কে উঠল না সেটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি চাই, এবারের নির্বাচনে শৃঙ্খলা আসুক।' নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনও (৭০) ভোটকেন্দ্র নিয়ে তার মতো অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'ভোটকেন্দ্রে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়। আমাদের মতো বয়স্ক মানুষদের জন্য বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিজেকে রক্ষা করা খুব কষ্টসাধ্য। ঝামেলার মধ্যে সন্তানরা ভোটকেন্দ্রে যেতে দিতে চায় না।' এবারের নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার আঁচ পেলে ভোট দিতে যাবেন না বলে জানান তিনি। চাঁদপুরের মতলবে জন্ম নেওয়া দেলোয়ার দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নিউ মার্কেট এলাকায় বাস করছেন। প্রবীণ নিবাস কেন্দ্র 'চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার'র চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারও প্রবীণ ভোটারদের জন্য আলাদা লাইন রাখার দাবি করেন। তিনি বলেন, 'ভোটকেন্দ্রে প্রবীণদের জন্য আলাদা কোনো সুযোগ-সুবিধাই নাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্তদের জন্য খুব ভোগান্তির বিষয়। এর মধ্যে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে আমি আমার বাবা-মাকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে সংশয়ে থাকি।' আগে প্রবীণদের ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীরা নানা উদ্যোগ নিলেও এখন তেমনটা আর দেখা যায় না বলে জানান মিল্টন।