প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর তথ্য

পশুর মজুত পযার্প্ত আছে সংকটের আশঙ্কা নেই

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কোরবানির জন্য দেশে পযার্প্তসংখ্যক পশু মজুদ রয়েছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ‘পশু নিয়ে সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। শেষ মুহূতের্ কিছু পশু উদ্ধৃত্ত থেকে যাবে।’ রোববার মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। আগামী ২২ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবে মুসলমানরা তাদের প্রিয় বস্তুু মহান আল্লাহর নামে উৎসগর্ করে তার সন্তুষ্টি অজের্নর চেষ্টা করেন। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঈদের মূল বিষয়টিই হচ্ছে কোরবানি করা। মানুষের আথির্ক সামথর্্য বেড়েছে, তাই শরিয়াহ অনুযায়ী কোরবানি দেয়া মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। সেই হিসাবে যে পরিমাণ পশু অথার্ৎ গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ দরকার হবে, সেগুলো আমাদের এখানে পযার্প্ত পরিমাণে রয়েছে।’ ‘এবার দেশি গরুতেই কোরবানির ঈদ সম্পন্ন হবে বলে আমরা মনে করছি। আমাদের পশুর স্টক (মজুদ) যথেষ্ট রয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই।’ গত বছর এক কোটি চার লাখ লাখের মতো পশু কোরবানি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার অনেক লোকের আথির্ক সংগতি বেড়েছে, এ ছাড়া সামনে নিবার্চন। নিবার্চনের প্রাথীর্রা অনেক সময় একটির স্থানে দুটি পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তাই সব মিলিয়ে আমরা মনে করছি, এবার পশুর চাহিদা এক কোটি ১৫ লাখ হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী পশুর মজুত রয়েছে এক কোটি ১৬ লাখের মতো। এ ছাড়া গৃহস্থালী পযাের্য় অনেকের একটি-দুটি করে গরু রয়েছে। সেগুলোসহ কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এক কোটি ২৫ লাখের কম নয়। সেখানে এক কোটি ১৫ লাখ চাহিদা হলে পশু উদ্বৃত্ত থেকে যাবে।’ প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এবার কোরবানির পশু নিয়ে সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। আমি গতকাল এলাকা থেকে এলাম। আমাদের ওখানে (খুলনায়) বড় বড় দুটি স্থায়ী হাট রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই হাট বসে। গত বৃহস্পতিবার সেই হাট হয়ে গেছে। এবার ওই হাটে বিপুলসংখ্যক গরু এসেছে, একটি গরুও ভারতের নয়। বিক্রি হওয়ার পরও অনেক গরু রয়ে গেছে। আমরা আশা করি, শেষ মুহূতের্ কোনো সংকট হবে না। কিছু গরু উদ্বৃৃত্তই থাকবে।’ বাজারে ভারত-মিয়ানমারের গরু দেখা যাচ্ছেÑ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকষর্ণ করলে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে পাশের দেশ থেকে কিছু গরু আসতে পারে। তবে তা অনেক কম, হিসাবের মধ্যে পড়ে না। অন্য দেশ থেকে গরু আনতে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। এ ছাড়া মানুষের ঝেঁাকও কিন্তু দেশি গরুর প্রতি।’