২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় সেপ্টেম্বরে

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদলতের রায় আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেয়া সম্ভব হবে। রায়টি হলে দেশ আরও একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে ফঁাসির রায় কাযর্কর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রæত বিচারের দাবিতে আয়োজিত আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচাযর্ ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি ৫২ জন। এর মধ্যে ১৭ জন পলাতক। এই মামলায় আদালতে ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে যুক্তিতকর্ উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সবের্শষ আসামি হিসেবে বাবরের যুক্তিতকর্ আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট উপস্থাপন হবে। যুক্তিতকর্ উপস্থাপন শেষ হলেই রায় দেয়ার পালা। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আদালত এই রায় দিতে পারবে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা ও বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। গ্রেনেডের স্পিøন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েকশ নেতাকমীর্। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম ডিউক, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, সাবেক সাংসদ শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।