গুজব রটনাকারীদের দমন করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
হাসানুল হক ইনু
মিথ্যাচার ও গুজব রটনাকারীদের শক্তভাবে দমন করা হবে। তবে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বন্ধ করে নয়। এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জানালাটা খোলা রাখার পক্ষে সরকার। তবে সঠিক তথ্য সরবরাহের জন্য মূলধারার গণমাধ্যমকে সামাজিক মাধ্যমে আরও সক্রিয় হতে হবে। রোববার সকালে ইনভেস্টিগেটিভ জানাির্লজম সেন্টার বাংলাদেশ (আইজেসিবিডি) ও বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন। পিআইবির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘ফেসবুকে গুজব এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীষর্ক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান নিবার্হী মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সারাবাংলার নিবার্হী সম্পাদক মাহমুদ মেনন খান, বিএফইউজে‘র কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদসহ অনেকেই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি কোনো অবস্থাতেই তথ্য চাপা দেয়ার পক্ষে নয়। সুতরাং মূলধারার গণমাধ্যম নিভের্য় ঘটনার সঠিক বিবরণ তুলে ধরুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুজব রটনা ও মিথ্যাচারের বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মিথ্যাচার ও গুজব রটানোর ক্ষেত্রে যতই ঝাপটা আসুক না কেন, যত রকম বিভ্রান্ত ছড়ানো হোক না কেন, তবে মিথ্যাচার গুজব রটনাকারীদের শক্তভাবে দমন করার পাশাপাশি ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জানালাটা খোলা রাখার পক্ষে সরকার। এই অবস্থান নিয়েই আমরা বাকিটা আলোচনা করব।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুক, টুইটারের গুজব থেকে কিভাবে নিজেকে দেশবাসীকে রক্ষা করবেন এই শিরোনামে ঈদের পর একটা প্রচার আন্দোলন হবে। মূলধারার গণমাধ্যমের প্রতি আমার আহ্বান আপনারা, আপনাদের জায়গা থেকে সঠিক তথ্যের গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্যই এই প্রচারে সামিল হবেন।’