এমন মন্দার ঈদ আর আসেনি: রিজভী

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন Ñযাযাদি
১০ বছরের মধ্যে কোনো ঈদের সময়ই বাজারে এমন মন্দাভাব দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার জন্য ঘরমুখী মানুষ প্রচÐ দুদর্শার মধ্যে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, এক দশকের মধ্যে ঈদ বাজারে এমন মন্দাভাব আগে কখনো দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা দোকানে ঈদের সামগ্রী তুলে বিপাকে পড়েছেন। কারণ বেচা-বিক্রি বন্ধ। রিজভী বলেন, ‘এই দুঃশাসনের অবসান না হলে দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে না, মিলবে না স্বস্তি। আমরা মনে করি, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার, জনগণের সরকার, সত্যিকারভাবে মানুষ তার পছন্দ অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি নিবার্চন করতে পারলেই কেবল মুক্তি মিলবে।’ বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবির পাশাপাশি কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃত সব শিক্ষাথীর্ এবং দৃক গ্যালারির কণর্ধার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিও জানান রিজভী। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এখনো তার নোয়াখালীর বাড়িতে অবরুদ্ধ রয়েছেন অভিযোগ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এ ধরনের অমানবিক ঘটনা সৃষ্টি করার পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সেটাকে নিয়ে তামাশা ও উপহাস করছেন। ‘একজন বষীর্য়ান রাজনীতিবিদ, তার স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার সুযোগ নেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ভোটারবিহীন সরকারের আমলে।’ রোববার নোয়াখালীর কবিরহাটের নওরতপুর ইউনিয়নে নিজের বাড়িতে মওদুদ আহমদের সাথে দেখা করে ফেরার পথে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা ওলিউল্লাহ, আব্দুল ওয়াহাব ধনু, মো. কামরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, মশিউর রহমান, হাফিজউদ্দিন, সোহাগ মিয়া, আবদুল লতিফ মাস্টারকে গ্রেপ্তারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবিও জানান রিজভী। এছাড়া ফেনী ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় দলের নেতা-কমীের্দর গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান তিনি। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু ও মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।