বেড়িবঁাধ সড়কে ছিনতাই আতঙ্ক

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর গাবতলী থেকে বাবুবাজার পযর্ন্ত বেড়িবঁাধ সড়ককে কেন্দ্র করে সক্রিয় বেশ কয়েকটি ছিনতাইকারী চক্র। দুপুর থেকেই এরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। রাতে এই সড়কটি হয়ে উঠে আরও বিপজ্জনক। আর ছিনতাইকারীদের কারণে এই সড়কটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক স্পষ্ট। ঈদের আগে হাটে পশু কিনতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগও বেড়েছে। বেড়িবঁাধ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবারই ঈদসহ উৎসবকে কেন্দ্র করে ছিনতাইকারীদের সক্রিয়তা বাড়ে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি বসিলা রোডে বসা কোরবানির পশু বিক্রির হাট তদারকি করতে একটি পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বসানো হয়েছে বেড়িবঁাধ তিন রাস্তার মোড়ে। তবুও থেমে নেই ছিনতাই। এই এলাকাটি থেকে দূরে নিজের্ন পেলেই ছিনতাইকারীরা ছিনিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন। রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের বিপরীতে বসবাস করেন জুয়েল। শাহবাগ আজিজ সুপার মাকেের্ট পোশাক বিক্রেতার কাজ করেন। বুধবার রাতে বাসায় ফেরার স্মৃতিসৌধের আগে ছিনতাইয়ের শিকার হন। জুয়েল বলেন, ‘বুধবার বাসায় আসার টাইমে চারটা ছেলে আমাকে থামায়। রাস্তায় তখন লোকজন ছিল না। তাদের দুইজনের হাতে বড় ছুরি ছিল। একজন আমার পকেটে হাত দিয়া মোবাইল আর মানিব্যাগ নিয়া গেল।’ ‘মোবাইল আর টাকার জন্য জীবন তো দিতে পারি না। কয়দিন আগে আমার বন্ধু চরে (কামরাঙ্গীচর) থাকে, তারও একইভাবে মোবাইল নিয়া গেছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা ইউনূস বলেন, ‘পুলিশ কি আর প্রতিদিন ছিনতাইকারী ধরে? আর ছিনতাইকারীরাও পুলিশের দিকে নজর রাখে। পুলিশ যেদিকে থাকে না, ওরা ওইদিকে থাকে। আমার পুলিশ আসার আগে ও ওরা গায়েব।’ ‘সবার থেকে তো আর ছিনতাই করা পারে না। এলাকার স্থানীয় গো ওরা চেনে। নতুন পোলাপান বা ভদ্র জাগো দ্যাহে, ওগো থেকেই ছিনতাই করে। বেশির ভাগ কাজ হয় সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা, ১২টা পযর্ন্ত।’ অবস্থা আরো শোচনীয় আকার ধারণ করেছে ¯øুইসগেট থেকে গাবতলী বেড়িবঁাধ সংলগ্ন সড়কের দুই পাশে। এই সড়কে দায়িত্ব পালন করা এক ট্রাফিক কনস্টেবল বলেন, ‘গাবতলী থেকে ¯øুইসগেট পযর্ন্ত প্রায় চল্লিশজন ছেলে আছে যারা চুরি-ছিনতাই করে। আমাদের চোখেও পরে। অনেক সময় চোখের সামনে পরলে দেঁৗড়ানি দেই।’ এ বিষয়ে দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ সেলিমুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ছিনতাই হয় বা বড়চক্র আছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। ঈদের আগে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং বিভিন্ন সময়ে হয়ে আসছে তা আমরা জানি। তাই ঈদের অনেক আগে থেকেই আমরা এ সব বিষয়ে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে এবং কোরবানির হাটে যারা গরু কিনতে ও বিক্রি করতে আসছেন, সবার নিরাপত্তার জন্য আমরা বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছি। টহল বাড়িয়েছি। রাস্তায় অন্য সময়ের চেয়ে বেশি পুলিশ মোতায়েন করেছি।’