বাংলাদেশও ক্যানসার চিকিৎসায় এখন অনেক এগিয়ে

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যানসার দিবস ২০২০। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল চত্বরের্ যালি বের করা হয়। পরে হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তার রহমান। অনুষ্ঠানে ৭০ জন ক্যানসার জয়ী শিশুদের নিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, গান, গজল, হামদ-নাত ও নৃত্য পরিবেশন করে শিশুরা। পরে ক্যানসার জয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময়, আক্রান্তদের কয়েকজন তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ক্যানসার চিকিৎসায় বর্তমান বিশ্বে এক মাইলফলক বাংলাদেশ। বাংলাদেশেই এখন ক্যানসারের চিকিৎসা হচ্ছে এবং প্রথমদিকে ক্যানসার নির্ণয় করা গেলে নিরাময় সম্ভব। তবে, একটি শিশু যখন ক্যানসারে আক্রান্ত হয় তখন তাদের বাবা মায়ের সব সাজানো স্বপ্নগুলো যেন একে একে ভেঙে যেতে থাকে। আর গ্রাস করে কালো অন্ধকার। চলে হাসপাতাল আর ডাক্তারের কাছে ছুটাছুটি। বক্তারা বলেন, আজকে ৭০ জন ক্যানসার জয়ী শিশুকে নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে ভালো লেগেছে। কারণ তারা শুধু ক্যানসার জয়ই করেনি রোগ তাদের চলার পথকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করলেও আজ তারা তাদের মেধা, সাহস আর মা-বাবার প্রেরণায় মূল স্রোতে মিশে গেছে। হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের তথ্যানুযায়ী ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসার বিভাগ স্থাপিত হয়। এ পর্যন্ত অনেক ক্যানসার রোগী চিকিৎসা নিয়ে আরোগ্য লাভ করেছেন। এছাড়া, ২০১৮ সালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮ হাজার এবং আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৯০ জন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক ডা. আহমেদ মুরতুজা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আতিকুল ইসলাম, আধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এটিএম আতিকুর রহমান।