ঢাকার ৬ এলাকায় কলেরা টিকাদান কর্মসূচি শুরু

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কলেরা নির্মূলে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে টিকাদান কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৬টি এলাকায় কলেরার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ (বুধবার) থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৬টি ওয়ার্ডে মুখে খাওয়ানোর কলেরা টিকাদান কার্যক্রম চলবে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় বলা হয়, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৩ থেকে ৪০ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ আটটি উন্নয়নশীল দেশে বছরে এক লাখেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। এটি ডায়রিয়াজাতীয় রোগ যা দেহে দ্রম্নত পানিশূন্যতা তৈরি করে এবং সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃতু্য পর্যন্ত হতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ২০৩০ সালের মধ্যে কলেরা নির্মূলের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বাংলাদেশের জন্য কলেরা কন্ট্রোল পস্ন্যান ২০১৯-২০৩০ গ্রহণ করেছে। যেখানে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উনয়নের পাশাপাশি কলেরা টিকাদানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গেস্নাবাল ট্রাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল (জিটিএফসিসি)-এর মাধ্যমে ইউনিসেফের সহায়তায় চব্বিশ লাখ মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা একমাস অন্তর ২টি ডোজের মাধ্যমে এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের প্রদান করা হবে। মোহাম্মদপুর, আদাবর, দারুস সালাম, কামরাঙ্গীর চর, হাজারীবাগ ও লালবাগ এলাকায় ৬ দিনব্যাপী ৩৬০টি টিকাদানকেন্দ্রে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। কর্মজীবীদের সুবিধার্থে কিছু টিকাদানকেন্দ্র সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি এবং ঢাকা সিটি কপোরেশনের সহায়তায় আইসিডিডিআর,বি এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. অনিন্দ্য রহমান, অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক এবং সিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী, আইসিডিডিআর,বির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।