খালেদা জিয়ার জামিন সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ড. হাছান মাহমুদ
দুর্নীতির দায়ে বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আদালতের এখতিয়ার বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিন যেন দিয়ে দেওয়া হয়- এ বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আদালত জামিন দেবে কি দেবে না- সেটি আদালতের এখতিয়ার। এখানে সরকারের কোনো বক্তব্য নেই। 'তবে উচ্চ আদালতে তারা ইতিপূর্বে আপিল করেছিলেন নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে। নিম্ন আদালত তাকে ৫ বছর সাজা দিয়েছিল। উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছিল। এখন উচ্চ আদালত তাকে জামিন দেবে কি দেবে না- সেটি উচ্চ আদালতের বিষয়। কয়েকটি মামলায় কিন্তু তিনি জামিনে আছেন। এখানে সরকারের কিছু করণীয় নেই।' তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। বিষয়টিকে তারা রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা বলার চেষ্টা করছেন, খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়নি। আটকে রাখা হয় তখন- যখন কাউকে যদি রাজনৈতিক কারণে আটক করা হয়, তখন সেটি আটকে রাখা হয়। কিন্তু তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে শাস্তি ভোগ করছেন। এখানে বিএনপি ভুলটা করছে।' ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির বক্তব্য শুনলে মনে হয় দলটি জনগণের নয়, দলটি জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে না। দলটি কাজ করে খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের স্বার্থ রক্ষার স্বার্থে। 'তারা জনগণের স্বার্থে কাজ করে- তাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে মনে হয় না। তাদের সমস্ত কথাবার্তা খালেদা জিয়ার জামিন, স্বাস্থ্য এবং মাঝেমধ্যে তারেক জিয়া প্রসঙ্গে। তাদের সমস্ত কথাবার্তা, আন্দোলন, মানববন্ধন সবকিছু এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।' তিনি বলেন, এসব বক্তব্যে বলা-ই যায়, দলটি আসলে জনগণের নয়, দলটি হচ্ছে খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের। সময় পাবেন ক্যাবল অপারেটররা : এদিকে ক্যাবল অপারেটর সিস্টেম ডিজিটালাইজড করার জন্য আরও এক বছর সময় পাবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ক্যাবল অপারেটর সিস্টেম ডিজিটাল করা হলে সরকার ক্যাবল অপারেটরদের কাছ থেকে বছরে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার ভ্যাট পাবে। যেটা এখন পাচ্ছে না। এ কারণে আমরা ঠিক করেছি একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সে সময়ের মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করতে হবে। আর যারা করতে ব্যর্থ হবেন তাদের ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হব। রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ক্যাবল সংযোগে ডিজিটালাইজেশন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এবং ক্যাবল অপারেটরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও রশি টানাটানি চলে। নিজেদের মতো করে ফি নেওয়া, টেলিভিশন চ্যালেনের মতো করে কাজ করা এই যে একটা বিশৃঙ্খলা- এটা কোনোমতেই সমীচীন নয়। ডিজিটাল সিস্টেমে যেতে কতদিন সময় দেওয়া হবে? এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সময়টা আমরা আলোচনা করে দেবো। তবে আমার মনে হয় সারাদেশে ক্যাবল সিস্টেম ডিজিটাল করতে এক বছরের বেশি সময় কোনোভাবেই দেওয়া উচিত নয়। এক বছরের মধ্যে সারাদেশ এবং কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামেরটা করতে হবে।