২৮ লাখ ইয়াবা চট্টগ্রামে তিনজনের ১৫ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চার বছর আগে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ট্রলার থেকে প্রায় ২৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় তিন আসামিকে ১৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান মঙ্গলবার এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাতকানিয়ার ছোট ঢেমশা গ্রামের আলী আহমেদ (৫৬), পটিয়ার শিকলবাহা এলাকার হামিদুলস্নাহ (৩৬) এবং রাঙামাটির কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়া এলাকার মো. মহিউদ্দিন (৩৯)। তিনজনই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, '২৮ লাখ ইয়াবা আনায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১)এ ধারায় করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ শাস্তি ১৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।' পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'ঘটনাটি ২০১৬ সালের। তাই সেসময় যে আইন বিদ্যমান ছিল সে আইনেই মামলার বিচার হয়েছে। ওই আইনে এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি। পরে ২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হয়। সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়ানো হয়। তবে সেই সংশোধিত আইন এ মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।' ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি রাতে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় পতেঙ্গার কাছাকাছি একটি ট্রলারকে ধাওয়া করে ধরের্ যাব ৭-এর একটি দল। ট্রলারে তলস্নাশি চালিয়ে ২৭ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় আলী আহমেদ ও হামিদুলস্নাহকে। এরপর তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মো. মহিউদ্দিনকের্ যাব গ্রেপ্তার করে। সেসময়র্ যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, মাছ ব্যবসার আড়ালে ট্রলারে করে এসব ইয়াবা নিয়ে আসছিল মিয়ানমার ও বাংলাদেশের একটি চক্র। তখন পর্যন্ত ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালানটি চট্টগ্রামে আনা হচ্ছিল। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধের্ যাব ৭-এর তৎকালীন ডিএডি সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মহসিন কবির বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৩ মে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগ গঠন করা হয় ৬ সেপ্টেম্বর। মামলায় মোট নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দিল আদালত।