দুদক স্বাধীন না হলে টার্গেটে মন্ত্রী কেন, প্রশ্ন কাদেরের

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ওবায়দুল কাদের
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীন না হলে সরকারের মন্ত্রী এমপিরা কেন টার্গেট হবে- ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইসু্যতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নেরর জবাবে টিআইবির উদ্দেশে এমন প্রশ্ন করেন তিনি। টিআইবি বলছে, দুদক রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়। দুদক ততটুকুই স্বাধীন সরকার যতটুকু চায়। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দুদক ততটুকুই স্বাধীন যতটুকু সরকার চায়- এটা যদি হয় তাহলে সরকারের এত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের আজকে এত তদন্ত, এত চার্জশিট কেন? সরকারের অনেক এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। যদি দুদক স্বাধীন না হতো তাহলে সরকারের মন্ত্রী এমপিরা কেন টার্গেট হবে? দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা-ভাঙ্গা উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এটার প্রস্তুতি সম্পন্ন। তবে মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততা খুব বেশি। আপনারা জানেন, মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা চলছে। আর ১৮ দিন বাকি। 'মুজিববর্ষে বিদেশি অতিথিরাও আসবেন। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি কাজ এগিয়ে চলছে। প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায় এখন। পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আমাদের খুব জরুরি বিষয়। কারণ এটা যোগযোগের জন্যও খুব প্রয়োজনীয়। কারণ মুজিববর্ষে টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে অনেকেই যাবেন। সে যাত্রার সময় বাঁচানো ও সহজ করার বিষয় রয়েছে। এটা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে। এর কাজ শেষ হয়েছে এখন উদ্বোধন হবে।' কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্মব্যবস্ততার কারণে আপাতত বিষয়টি নিয়ে দুইভাবে ভাবছেন। তিনি ভাবছেন, আগামী ১৭ মার্চ উপলক্ষে বাই রোডে তিনি টুঙ্গিপাড়া যাবেন। তার আগেই ১১-১২ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করবেন। 'ঢাকা-ভাঙ্গা যে এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে সে রাস্তা ধরে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে না গিয়ে বাই রোডে তিনি টুঙ্গিপাড়া যাবেন। সেটাও চিন্তাভাবনা আছে।' খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করাপশন ইজ করাপশন। এটা ২০০ কোটি না ২ কোটি এটা আমি দেখব না। যখন আপনারা ন্যায়বিচারের দিকে যাবেন তখন করাপশনের পারসেপশানটা নিয়ে ভাববেন, তখন আপনি কী ভাববেন? এক্ষেত্রে টাকার অঙ্কটা ভাবেন না করাপশনটা হয়েছে সেটা দেখবেন। এখানে টাকার অঙ্ক ২০০ কি দুই সেটা কোনো বিষয় না। বিষয়টা হচ্ছে করাপশন হয়েছে কিনা। টাকার অঙ্ক দিয়ে তো দুর্নীতি পরিমাপ করা যাবে। 'খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে এতিমের অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এটা কত টাকা এটা কোনো বিষয় নয়। বিষয়টা হচ্ছে, এখানে মারাত্মক একটা দুর্নীতি হয়েছে,' যোগ করেন কাদের।