শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রী কমছে, ক্ষতির শঙ্কায় বিমান পরিবহণ খাত

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে যাত্রী কমতে থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশের বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলো।

যেসব দেশে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল অনেক দেশই সীমিত করছে। যাত্রীর অভাবে আন্তর্জাতিক রুটের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট কমাতে বাধ্য হচ্ছে অনেক এয়ারলাইন্স।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান, এই অবস্থা চলতে থাকলে বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ক্ষতির পরিমাণ ১১ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

যাত্রী সংকটের মুখে সোমবার আন্তর্জাতিক ১০টি রুটের ফ্লাইট চলাচল সীমিত করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এসব রুটের মধ্যে রয়েছে কুয়ালালামপুর, কাঠমান্ডু, কলকাতা, দিলিস্ন, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দোহা, জেদ্দা, মদিনা ও কুয়েত। এসব রুটে বিমানের সাপ্তাহিক ফ্লাইট অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার ও কুয়েত ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বাংলাদেশি যাত্রীদের তারা আপাতত সেসব দেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে না।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, ১০টি আন্তর্জাতিক রুটে বিমান সাপ্তাহিক (আসা-যাওয়াসহ) ১৪২টি ফ্লাইটের মধ্যে ৬৮টি ফ্লাইট চালু রেখেছে।

বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীরা চাইলে তাদের টিকিটের টাকা ফেরৎ পাবেন বলে জানান বিমানের এমডি।

বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক একেএম মাহফুজুল আলম বলেন, 'অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীরাও করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ফলে প্রতিদিনই টিকিট ক্যানসেল হচ্ছে।'

তাতে এয়ারলাইন্সগুলো 'বিরাট ক্ষতির মুখে' পড়ছে মন্তব্য করে মাহফুজ বলেন, 'মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবে যাত্রীরা প্রভাবিত হচ্ছেন। আমরা চাই এই গুজব প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।'

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ১৩ ফেব্রম্নয়ারির আগে তারা চীনের সঙ্গে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করতেন। এখন চলছে তিনটি ফ্লাইট। এখন কাতার সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউএস-বাংলার কাতারগামী সব ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।

তবে অভ্যন্তরীণ রুটে ইউএস-বাংলা এখনও ততটা চাপের মধ্যে পড়েনি জানিয়ে কামরুল বলেন, 'আমাদের যাত্রীরা যে টিকিট বাতিল করছেন তার সংখ্যা খুব বেশি নয়। আমরা বরং ২৯ মার্চ থেকে সিলেটে অতিরিক্ত একটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছি।'

রিজেন্ট এয়ারওয়েজের এজিএম মো. জাফরুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক শুরু হওয়ার পর কলকাতা রুটে তাদের যাত্রী কমে গেছে। মাঝে সিঙ্গাপুরগামী যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমলেও এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে এখনও তেমন সমস্যায় পড়েনি বলে জানান জাফর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<92002 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1