ভোক্তা অভিযোগ শুনতে চালু হচ্ছে হটলাইন

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে এ-সংক্রান্ত হটলাইন চালু করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কোনো ভোক্তা সেবা বা পণ্য কিনে প্রতারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ওই হটলাইনে অভিযোগ করতে পারবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে গিয়ে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। হটলাইন নম্বরে কল করে ২৪ ঘণ্টা এ সেবা পাওয়া যাবে। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা। ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। হটলাইন নম্বরটি কত জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ১৫ মার্চ (রোববার) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসে প্রথম কল করে এ হটলাইন সেবা উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তাই আজকে নম্বরটি বলতে চাচ্ছি না। তিনি বলেন, ভোক্তারা এখন অনেক সচেতন। তারা কোনোভাবে প্রতারিত হলেই অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ করছেন। নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি বা নকল পণ্য তৈরি হলে জানাচ্ছেন। আমরা সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছি। তবে এ হটলাইন সেবা চালু হলে ভোক্তারা আরও সচেতন হবেন। তারা কোনো অনিয়ম পেলেই আমাদের জানাতে পারবেন। আর আমাদের রুটিন কার্যক্রম বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি হটলাইনে অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে এতে জড়িতদের ভোক্তা আইনে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বাবলু কুমার সাহা বলেন, এবার ভোক্তা অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'মুজিববর্ষের অঙ্গীকার-সুরক্ষিত ভোক্তা-অধিকার'। দিবসটি একযোগে কেন্দ্রীয়, বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে। বাবলু কুমার সাহা বলেন, ভোক্তার কাছে অধিদপ্তর আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমরা লবণ সংকটের গুজব মোকাবিলায় রাত-দিন কাজ করেছি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে এর উত্তরণ করতে সক্ষম হয়েছি। মাস্ক সংকটের উত্তরণে রাত ১২টা পর্যন্ত আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষের্ যালিসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। তবে করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অনুষ্ঠানের কিছুটা সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। বড়র্ যালি করব না, তবে বড় আকারে ট্রাক শো থাকব, যেগুলো রাজধানীর আটটি রুটে থাকবে। জারিগানসহ আমাদের থিম সং বাজবে শোতে। এ ছাড়া ক্রোড়পত্র প্রকাশ, স্মরণিকা প্রকাশ, মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠানো হবে।