শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
করোনাভাইরাস

গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে ভয়াবহ বিস্তার ঘটাবে

যাত্রী কল্যাণ সমিতির আশঙ্কা
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ মার্চ ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ১৯ মার্চ ২০২০, ০০:১১

গণপরিবহণ ব্যবহারে যাত্রীরা সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ বিস্তার ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এতে বলা হয়, গণপরিবহণ ব্যবহার সংক্রান্ত বিশেষ সতর্কতা প্রচারের পাশাপাশি গণপরিবহণকে জীবাণুমুক্ত রাখতে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বাস টার্মিনাল ও বাস স্টপেজ, রেল স্টেশন, লঞ্চ-টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের পাশাপাশি আকাশপথের সব যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানার বসিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। মোজ্জামেল হক বলেন, জনগণকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষায় এরই মধ্যে সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে গণপরিবহণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষ গণপরিবহণ ব্যবহার করে। তাদের পক্ষে যেমন গণপরিবহণে যাতায়াত বন্ধ করা সম্ভব নয়। অপরদিকে আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের হাসপাতাল অথবা আশকোনা হজক্যাম্পে নিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। পাঠানোর সময় তাদের গণপরিবহণ ব্যবহার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হলেও প্রবাসীরা হাসপাতাল কিংবা আশকোনা হজক্যাম্প থেকে বের হওয়া মাত্র সিএনজি অটোরিকশা বা অন্যা যানে বাড়ি চলে যাচ্ছে। এতে করে কোনো করোনা সংক্রমিত রোগী এসব গণপরিবহণ ব্যবহার করলে তা হবে ভয়াবহ। অথবা বাড়িতে আক্রান্ত কোনো রোগী বাস-মিনিবাস কিংবা হিউম্যান হলারে যাতায়াত করলে এতে করে পুরো অঞ্চলে করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রতিটি নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ থেকে গণপরিবহণে যাত্রী উঠানো সময় থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দ্বারা স্ক্যানিং করে যাত্রী উঠানো। প্রতিটি ট্রিপ শেষে গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত পরিবহণ জীবাণুনাশক স্প্রে দ্বারা জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের দুর্যোগের এ মুহূর্তে গণপরিবহণ বন্ধ না করা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের প্রতিটি সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাসে আসনবিহীন যাত্রী বহন বন্ধ করার অনুরোধ জানান। রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রীর হেলমেট ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখা। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল অথবা আশকোনা হজক্যাম্প থেকে বাড়ি পাঠাতে নির্দিষ্ট যানবাহন ব্যবহার করা এবং এইসব যানবাহন সবসময় জীবাণুমুক্ত স্প্রে ব্যবহার করার অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া আন্তঃজেলা দূরপালস্নার রুটে চলাচলকারী এসি-ননএসি বাসে যাত্রী উঠানোর আগে ও নামানোর পরে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা। এসি বাসের যাত্রীদের ব্যবহৃত কম্বল ও সিটকভার প্রতিদিন পরিবর্তন করে পরিষ্কার করা। পরিবহণের চালক ও হেলপারদের সেইফটি ইউনিফরম ব্যবহার করা, ট্রিপ শেষে তাদের সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত-মুখ পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রতিটি গণপরিবহণ মালিক ও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে