খাওয়ার অযোগ্য ২ হাজার কেজি মহিষের মাংস জব্দ

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর মিরপুরে দুটি গোডাউনে খাওয়ার অযোগ্য ২ হাজার কেজি মহিষের মাংস জব্দ করেছের্ যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠান দুটিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা ও মালিককে ৩ মাস করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ১৮ মার্চ রাত ৯টায় অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯ মার্চ ভোরে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন, কোম্পানি কমান্ডার, সি পি সি-২ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান। র্ যাব জানায়, মিথিলা পরিবহণে করে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাওয়ার অযোগ্য এসব মাংস অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করে রংপুরের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকালে মিথিলা পরিবহণের মালামাল রাখার নোংরা বক্স থেকে ১৪৮ কেজি মাংস আটক করা হয়। পরবর্তীতে ওই সূত্র ধরে তারা মিরপুর-১১ তে তালাব বিহারি পলস্নী মাংসের গোডাউনে পৌঁছান। সেই গোডাউনে মালিক দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করে আসছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংসগুলো সংরক্ষণ করা হয় ফলে মাংসের গুণগত মান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এমন মাংস খেলে শরীরে নানা ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে খাবার বিষ, অ্যানথ্রাক্স, ক্যানসার, রেবিসসহ অন্যান্য মারাত্মক ধরনের রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। গোডাউন দুটির একটি থেকে ১৪৮০ কেজি এবং অন্যটি থেকে ৩৭০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়। র্ যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় ইন্ডিয়ান আলানা নামক একটি কোম্পানি থেকে মাংস আমদানি করে থাকে। এই মাংসের গুণগতমান সংক্রান্ত কোনো সার্টিফিকেট ছিল না। এছাড়া আমদানিকৃত ইনভয়েসের কোনো ভাউচার পাওয়া যায়নি। এই অসাধু চক্রটি খাওয়ার অযোগ্য মাংস বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপারশপে এবং রাজধানীর বাইরে অন্যান্য জেলা শহরগুলোতেও সরবরাহ করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মো. জালালকে ২ লাখ এবং মোহাম্মদ কামালকে ২ লাখ টাকা অর্থন্ড করা হয়। অনাদায়ে ৪ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। র্ যাব-২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন বলেন, খাদ্যে যারা ভেজাল করে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। মানবদেহে ক্ষতিকর এমন কোনো খাবার মজুত ও বিক্রয় করা যাবে না। এ ধরনের অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ ভবিষ্যতে অভিযান চলমান থাকবে।