শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চসিক নির্বাচন: ২৭ মার্চ মধ্যরাতে প্রচার শেষ

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ মার্চ ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২০ মার্চ ২০২০, ১০:১৯

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার শেষ হবে ২৭ মার্চ মধ্যরাতে। এ সময়ের পর কেউ প্রচার চালালে শাস্তি পেতে হবে। প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের মধ্যে এ তথ্য প্রচার করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা প্রচার করা যাবে না। অর্থাৎ ২৮ মার্চ রাত ১টা থেকে ১ এপ্রিল রাত ১টা পর্যন্ত প্রচার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কেননা, ভোটগ্রহণ শুরু হবে ২৯ মার্চ সকাল ৯টায়, শেষ হবে বিকাল ৫টায়। এ সময় পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করতে এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংঘটিত করতে বা এতে যোগদান করতে পারবেন না। এ নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নূ্যনতম ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনটির পুরো ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, এ নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী রয়েছে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল সর্বশেষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদিকে করোনা ইসু্যতে সিটি নির্বাচন বন্ধ করা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় নির্বাচন কমিশন। বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চান না। এ অবস্থায় চসিক নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের সঙ্গে সভা করার কথা থাকলেও জনসমাগম এড়াতে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়েছে। চসিক নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বুধবার চট্টগ্রামে আসেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির থিয়েটার হলে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রার্থীদের সঙ্গে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের জরুরি বৈঠক থাকায় সভা স্থগিত করে বৃহস্পতিবার সকালেই ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন ইসি মাহবুব তালুকদার। সভা স্থগিতের বিষয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, 'যেহেতু নির্বাচনের সময়, একজন প্রার্থীর সঙ্গে কয়েকজন করে লোক আসবে। এতে বিশাল জনসমাগম তৈরি হবে। তাই জনসমাগম এড়াতেই প্রার্থীদের সঙ্গে ইসির বৈঠক বন্ধ করা হয়েছে। তবে ইসিতে বিকাল ৩টায় জরুরি সভাও রয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্কে সিটি নির্বাচনকে ঘিরে বাড়তে শুরু করেছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বেড়েছে সংঘাত-সংঘর্ষ। এরই মধ্যে বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ গেছে এক ব্যক্তির।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে