এ মুহূর্তে নির্বাচন বন্ধ করা দরকার: খসরু

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শুক্রবার চট্টগ্রামের মেহেদিবাগে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী -যাযাদি
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ মুহূর্তে নির্বাচন বন্ধ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা মনে করি না দেশের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সুযোগ আছে। জনগণ যাতে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান সে উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিকে যদি বাঁচাতে হয় নির্বাচন বন্ধের বিকল্প নেই। শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের মেহেদিবাগে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। আমীর খসরু বলেন, সারাবিশ্বে এখন মানুষ আত্মরক্ষার জন্য ৪ ফুট ব্যবধানে থাকছে। বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সেখানে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। বিয়ে-শাদি বন্ধ করে ভালো করেছে। তবে আগে নির্বাচন স্থগিত করা উচিত ছিল। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নামে বাংলাদেশের মানুষকে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে- এর দায়দায়িত্ব কারা নেবে? জাতিকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া গর্হিত সিদ্ধান্ত। তাদের উদ্দেশ্য কী আমি জানি না। মানুষের জীবনের চেয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বড় হতে পারে? দেশে ১৭-১৮ কোটি মানুষ, এখানে দুর্যোগ হলে দায়দায়িত্ব কে নেবে? রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এটা কিন্তু ভালো। যারা নির্বাচনের কাজে বের হচ্ছে তাদের বের হওয়া উচিত না। মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়া উচিত না। জনগণের প্রায়োরিটি হচ্ছে আত্মরক্ষা। নির্বাচন তার মাথায় নেই। নির্বাচন হচ্ছে জনগণকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপার। নির্বাচন নাগরিক অধিকার। এ অধিকার প্রয়োগ করতে হলে কেন্দ্রে যেতে হবে। এখনই লিফলেট দিতে গেলে দরজা খুলছে না মানুষ। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে হাত থেকে বেশি ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। ফিঙার প্রিন্ট একজনের পর একজন দিতে থাকবে। ভোট দিতে আসা কেউ করোনাভাইরাসে অসুস্থ হয়ে থাকলে পরে যারা ভোট দেবে সবাই আক্রান্ত হবে। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আজ শনিবার বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, মাহবুবের রহমান শামীম, ড. সুকোমল বড়ুয়া, আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান প্রমুখ। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সরে যেতে রাজি আছি : ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা মানুষের জন্য, জনগণের জন্য রাজনীতি করি। জনগণকে বাদ দিয়ে আমরা রাজনীতি করতে পারি না। মাঠে যদি জরিপ করেন ৮০-৯০ শতাংশ সমর্থন আমাদের আছে। কিন্তু জনস্বার্থে আমরা বলছি, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এটার ভয়াবহতা অনেক বেশি, যদি আমরা অনুধাবন করি। জনগণের নিরাপত্তা আমাদের জন্য বড়। সিভিল সার্জন ইতোমধ্যে বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে চট্টগ্রাম। নির্বাচন এমন একটি প্রক্রিয়া মানুষ তো সেখানে যাবেই। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে এ ধরনের একটি কাজ করছে তারা। জনগণের নিরাপত্তার জন্য নির্বাচন থেকে যদি সরে যেতে হয় আমি রাজি আছি।