আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এ যুদ্ধ জয়ের স্বার্থে সরকারের কিছু কৌশল আছে।
সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইসু্যতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অনেকে বলছে, তিন মাস সময় পেলেও ব্যবস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করেনি এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, তথ্য গোপন করে তো আমি যুদ্ধে জেতার আগেই হেরে যাচ্ছি, তথ্য কেন গোপন করব? সরকারের কিছু কৌশলগত বিষয় আছে। কৌশলগত বিষয়টা চায়নাকেও অবলম্বন করতে হয়েছে। কাজেই এসব কিছু কিছু আছে সেগুলো প্রয়োজনে বলা যায় না।
তিনি আরও বলেন, 'সরকারের একমাত্র মনোযোগ অভিন্ন শত্রু করোনা এবং সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই যুদ্ধে শামিল হতে গোটা জাতিকে আহ্বান জানাই। আমি একটা কথা বলছি, যখন যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকার প্রস্তুত আছে।'
যেখানে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জমাদি-পিপিই নেই, সেখানে সরকারের প্রতি আস্থা কীভাবে রাখবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, নেই এ কথাটা ঠিক নয়। কিছু ঘাটতি আছে। এটা সংগ্রহ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব কিছুর জন্য সরকারের প্রস্তুতি আছে। ডাক্তারদেরও প্রস্তুতি নেওয়া আছে। করোনা যুদ্ধে মোকাবিলায় তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জোগাড়ে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশে যা নেই তা বিদেশ থেকে আনার চেষ্টা চলছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এই যুদ্ধের মুখোমুখি কিংবা এ যুদ্ধ মোকাবিলার প্রস্তুতি কারোরই ছিল না, পৃথিবীর কোনো দেশেরই ছিল না, আমাদেরও ছিল না। এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো এখানে সৃষ্টি হয়নি। অহেতুক আতঙ্কিত হবে এমন অপপ্রচার থেকে, গুজব সৃষ্টি থেকে বিশেষ করে ফেসবুকে অপপ্রচার চলছে এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই।'
আক্রান্তদের সবাই পরীক্ষা করতে পারছে না- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, এখানে প্রাথমিকভাবে কিছু দুর্বলতা ছিল সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে এবং টেস্টের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য সরকার জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের যারা বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন তারা যেন সত্যটা স্বীকার করেন। এটা করলে আমরা ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করব।
চীনের অভিজ্ঞতা দেখার পরও কেন লকডাউন করা হলো না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, উন্মুক্ত করে রাখা হয়নি। যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে লকডাউন করা হচ্ছে।