করোনা মোকাবিলা দলীয় বিষয় নয়: গণফোরাম

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের মহামারি নিয়ন্ত্রণ দলীয় রাজনীতির কোনো বিষয় নয়। এটি জাতীয় অস্তিত্বের বিষয়। মানুষের জীবন বাঁচাতে দৃঢ় ও সমন্বিত নীতি দ্রম্নত গ্রহণ করতে হবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ত্যাগ স্বীকারের মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি এসব কথা বলেন তারা। বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার বিষয়টি মোকাবিলায় অনেক মূল্যবান সময়ক্ষেপণ করে সামান্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমিত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের কার্যকরভাবে আলাদা রাখতে ব্যর্থতার বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এসব ব্যর্থতার ফলে দেশের ৬৩ জন শিক্ষক ও গবেষক প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে একটি সম্ভাব্য কর্মপরিকল্পনা সুপারিশ করেছেন। আমরা ২২ মার্চ ওই ৬৩ জন বিশিষ্ট নাগরিকের দেওয়া গঠনমূলক ও সুবিবেচনাপূর্ণ সুপারিশগুলোকে সমর্থন করি। নেতৃদ্বয় বলেন, ভাইরাসটির ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার সঙ্গে চীন, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার গৃহীত ব্যবস্থার বিস্তর ফারাক রয়েছে। কিছু কিছু দেশ জানুয়ারি মাস থেকেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিশ্বের বহু দেশ তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন শহর এবং কিছু দেশ সম্পূর্ণ লকডাউন বলবৎ করেছে। অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে যাদের কোনো সঞ্চয় নেই এবং দৈনিক/সাপ্তাহিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাদের সহায়তা করতে অনেক দেশ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। বাংলাদেশে সহায়-সম্পদহীন এরূপ কয়েক কোটি মানুষের অবস্থা আরও বেশি সঙ্গীন। এ মানুকে অনাহার, অপুষ্টি (বিশেষ করে শিশুদের) ও ক্ষুধা থেকে বাঁচাতে অন্তত কয়েক মাস খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। গণফোরাম নেতৃদ্বয় বলেন, উদ্ভূত বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা বিগত এক শতকের যেকোনো মন্দার চেয়ে ভয়াবহ ও দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এ মন্দার পরোক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কর্মসংস্থান উলেস্নখযোগ্য হারে কমে যেতে পারে। আমাদের একটি লম্বা সময় ধরে জনজীবনে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বিঘ্নিত হওয়ার মতো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।