ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে

জোট বেঁধে বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা: তোফায়েল আহমেদ

প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মঙ্গলবার ছাত্রলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ -যাযাদি
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আন্দোলন করার গণতান্ত্রিক অধিকার সবার আছে। তবে জোট বেঁধে বিশৃঙ্খলা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিবে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ শীষর্ক আলোকচিত্র প্রদশর্নীর উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী একথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘খবরের কাগজে দেখলাম আমাদের বিরুদ্ধে জোট গঠন করা হবে। জোট করে তারা আন্দোলন করবেন। ভালো কথা। গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ এর মতো হরতাল অবরোধের নামে অথর্নীতিকে ধ্বংসের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।’ তিনি বলেন, নিবার্চন হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে। এই সরকার দৈনন্দিন কাজ করবে। নিবার্চন পরিচালনা করবে নিবার্চন কমিশন। তারা আশা করেন, সেই নিবার্চনে সবাই অংশগ্রহণ করবে। কেউ যদি নিবার্চনে না আসে তাদের কিছু করার নেই। তবে তিনি মনে করেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট যদি নিবার্চনে না আসে তাহলে তারা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। ১৯৭০ সালে মওলানা ভাসানী সাহেবের দল ন্যাপ ইলেকশন করেনি। এখন সেই দলের অস্তিত্ব নেই। ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু বাংলার মীরজাফর খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান ও দেশি-বিদেশি দোসররা ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। নিষ্পাপ রাসেলকে হত্যা করে। যাতে বঙ্গবন্ধুর রক্তের কেউ এই দেশের নেতৃত্ব দিতে না পারে। দুই কন্যা বিদেশ ছিলেন, না থাকলে তারাও থাকতেন না। সেই জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে তারা আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছেন। নিষ্ঠার সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে সেই পতাকা হাতে নিয়ে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করে স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ, যেটা জিয়াউর রহমান ধ্বংস করেছিল তিনি সেটিকে পুনরুদ্ধার করেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ তিনি উন্মুক্ত করেছেন। বিএনপি ২০০১ এ ক্ষমতায় এসে দেশকে পেছনে নিয়ে গেছে আবার ২০০৮ এ নিবার্চনে জয়ী হয়ে গত ১০ বছরে শেখ হাসিনা দেশকে কোথায় নিয়ে গেছেন! বিদেশে যারা ’৭১-এ বলেছিল বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি, বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর মধ্যে দরিদ্র দেশের মডেল। তারাই এখন বলে, বাংলাদেশ ইজ নাথিং ইট ইজ এ রোল মডেল অব ইকোনোমিক রোল মডেল। তিনি বলেন, তারা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে চলেছে। তারা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছেন। তারা সামনের দুটো বছর একটা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূতির্ আর একটা জাতির পিতার জন্ম শতবাষির্কী। এই দুটো বছর সামনে রেখে তারা ইতোমধ্যে পরিকল্পনা শুরু করেছেন। সুতরাং আগামী নিবার্চনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের উন্নয়ন হয়। বিশ্বব্যাংক যখন টাকা বন্ধ করে দিল, জাতীয় সংসদে দঁাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন নিজস্ব অথার্য়নে পদ্মা সেতু করবেন। এখন নিজস্ব অথার্য়নে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। তারা মেগা প্রজেক্ট করেছেন মাতার বাড়ি, মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেস, কণর্ফুলি প্যানেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন তিনি আন্তজাির্তক বিশ্বে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা। তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি, স্টার অব ইস্ট আখ্যায়িত করা হয়। আলোকচিত্র প্রদশর্নী শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, শামসুল হক ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আফিয়া বেগম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।