ঐক্যফ্রন্টকে কাদের

অবাধ ও সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর শ্যামলীতে বুধবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কমর্কতার্-কমর্চারীদের জন্য আবাসিক ভবন নিমাের্ণর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের -ফোকাস বাংলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সবিনয়ে বলবেন অবাধ ও সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য তাদের আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না। দেশে এক্সপেক্টেবল নিবার্চন হবে। তারা যেন সেই নিবার্চনের জন্য প্রস্তুতি নেন। বুধবার সকালে রাজধানীর শ্যামলীতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কমর্কতার্-কমর্চারীদের জন্য আবাসিক ভবন নিমাের্ণর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আরেকটা কথা ওনারা যদি গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে অহিংস আন্দোলন করতে চান তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সহিংস আন্দোলন করলে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বাথের্ সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। নিবার্চনের আগে কোনো রাজনৈতিক কমীের্ক গ্রেপ্তার না করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহŸানের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ইতিবাচক রাজনীতি করেন, যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই, সন্ত্রাস বা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার অভিযোগ নেই, তাদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে না। যাদের বিরুদ্ধে সুনিদির্ষ্ট মামলা আছে, আইনের বিচারে যারা অপরাধী, অপকমর্ করে... নিরাপত্তার স্বাথের্ তাদের গ্রেপ্তার না করার কোনো কারণ নেই। উল্লেখ্য, ভোটের রাজনীতিতে ঐক্যফ্রন্টের জোটের আদৌ কোনো প্রভাব আছে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। তারপরও এই জোটের উদ্যোক্তারা তুমুল আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বিএনপি জোটবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দিলে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫০টি আসনে চেয়েছে যুক্তফ্রন্ট। আবার কামাল হোসেন বিএনপিকে শতর্ দিয়েছেন আলোচনা হতে পারে জামায়াতকে ছেড়ে আসলে। গত নভেম্বরে যুক্তফ্রন্টের ঘোষণা দেয়া হয়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় শক্তি হওয়ার বাসনার কথা বলে। সে জোটে থাকার কথা ছিল কামাল হোসেনেরও। তবে তিনি বিদেশে অবস্থানের সময় তাকে বাদ দিয়ে জোটের ঘোষণায় মনঃক্ষুণœ হন। আর কামাল হোসেন না থাকায় যুক্তফ্রন্ট ছেড়ে যান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবদুল কাদের সিদ্দিকী। এর মধ্যে ১৯ এবং ২৮ আগস্ট যুক্তফ্রন্ট ও কামাল হোসেনের আলোচনায় দুপক্ষ কাছাকাছি এসেছে। মঙ্গলবার রাতের আলোচনায় আগামী দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। গঠন হয়েছে কমিটি। এ সময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বা আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষমতাকেন্দ্রিক উচ্চাভিলাষী সৌধ ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক কোনো প্রাসাদ নেই। যেটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। তাই বিএনপি নেতাদের বলতে চান তারা যে ক্ষমতার সিংহাসনের স্বপ্ন দেখছেন, তা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নয় মাসে যা পারলেন না তিন মাসে তা পারবেন, এটা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।’