মা-খালার চাপেই ইয়াবার কারবারে

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আল আমীন
চট্টগ্রামে ১৩ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২৫ বছর বয়সী এক যুবক পুলিশকে শুনিয়েছে ‘মা-খালার চাপে’ তার মাদকের কারবারে জড়িয়ে পড়ার গল্প। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, মঙ্গলবার রাতে নগরীর সিনেমা প্যালেস এলাকা থেকে আল আমীন নামের ওই তরুণকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আল আমীন তার ইয়াবার কারবার নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, আল আমীনের মা সাজু বেগম এবং খালা রুনা বেগম ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত’ মাদক কারবারি। ইয়াবা পাচারের এক মামলায় তাদের ১০ বছর করে সাজা দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। পরে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। আল আমীন পুলিশকে বলেছেন, তার দাদাবাড়ি নড়াইলে, আর চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তার নানাবাড়ি। দুই বছর আগে তার বাবা মারা যায়। খালা রুনার শ্বশুরবাড়ি টেকনাফে। তার ‘ভালো আয়-রোজগার’ দেখে মা সাজু বেগমও জড়িয়ে পড়েন ইয়াবার ব্যবসায়। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে আল-আমীন সবার ছোট। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে, আর বড় ভাই চায়ের দোকান চালান। আল আমীন নিজে এক সময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ভালো আয়ের আশায় বায়েজিদ বোস্তামী টেক্সটাইল এলাকায় একটি খাবার হোটেলও দিয়েছিলেন। ওসি বলেন, ‘হোটেল থেকে যা রোজগার হতো তা পছন্দ হচ্ছিল না আল আমীনের মায়ের। বেশি লাভের আশায় মায়ের চাপাচাপিতে সে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে।’ পুলিশ জানায়, আল আমীন ও তার মা আগে বায়েজিদ এলাকায় থাকলেও সেখান থেকে প্রথমে পঁাচলাইশ এলাকায় এবং পরে কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। ওসি বলেন, ‘আল আমীনের মা ইয়াবা সংগ্রহ করে আনতেন আর তার খালা ক্রেতা খুঁজে বের করতেন। সেই ক্রেতাকে ইয়াবা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল আল আমীনের। মঙ্গলবার রাতেও ইয়াবা পৌঁছে দিতে গিয়ে সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।’