কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত বাণী

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
১. 'বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। বিশ্বে যা কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রম্নবারি অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।' (উৎস- 'নারী' কবিতা) ২. 'নর ভাবে আমি বড় নারী ঘেঁষা! নারী ভাবে, নারী বিদ্বেষী!" (উৎস- 'সর্বহারা' কাব্যের 'আমার কৈফিয়ৎ' কবিতা) ৩. 'কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পুরুষের তরবারী; প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়-লক্ষী নারী।' (উৎস-'নারী' কবিতা) ৪. 'আপনারে আজ প্রকাশের তব নাই সেই ব্যাকুলতা আজ তুমি ভীরু আড়ালে থাকিয়া নেপথ্যে কও কথা! চোখে চোখে আজ চাহিতে পার না; হাতে রুলি, পায়ে মল, মাথায় ঘোমটা, ছিঁড়ে ফেল নারী, ভেঙে ফেল ও শিকল! যে ঘোমটা তোমায় করিয়াছে ভীরু ওড়াও সে আবরণ! দূর করে দাও দাসীর চিহ্ন ঐ যতো আবরণ।' (উৎস- 'নারী' কবিতা) ৫. 'সর্বসহা কন্যা মোর! সর্বহারা মাতা! শূন্য নাহি রহে কভু মাতা ও বিধাতা! (উৎস- 'সর্বহারা' কাব্যগ্রন্থের 'মা' কবিতা) ৬. 'তোমার মমতা-মানিক আলোকে চিনিনু, মাতা তুমি লাঞ্ছিতা বিশ্ব-জননী। তোমার আঁচল পাতা নিখিল দুঃখী-নিপীড়িত তবে, বিষ শুধু তোমা দহে যথা তব মাগো পীড়িত নিখিল ধরণির ভার বহে।' ৭. 'ভগবান! তুমি চাহিতে পার কি ঐ দুটি নারীর পানে? জানি না, তোমায় বাঁচাবে কে যদি ওরা অভিশাপ হানে!' ৮. 'খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায় দোলে গলায় বলাকার মালিকা।' ৯. 'কান্না হাসির খেলার মোহে অনেক আমার কাটল বেলা কখন তুমি ডাক দেবে মা, কখন আমি ভাঙব খেলা?' (উৎস-'উপেক্ষিত' কবিতা)