ফিটনেস রক্ষা আরও কঠিন হবে

করোনাকালে অন্য ফুটবলারদের মতোই নিয়ম মেনে ঘরে সময় কাটাচ্ছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলাম। তিন বছরে এই প্রথম বাবাকে এতটা কাছে পেয়েছে আমান ইসলাম ওহী। লিগ বাতিল হওয়ায় ফুটবলারদের ফিটনেস রক্ষার লড়াইটা আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে বলে দৈনিক যায়যায়দিনকে জানিয়েছেন আরিফুল।

প্রকাশ | ২০ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলাম
যায়যায়দিন : কেমন আছেন? কোথায় আছেন? আরিফুল : আলহামদুলিলস্নাহ ভালো আছি। আমাদের বাড়ি বরিশাল সদরে। ক্যাম্প বন্ধ হওয়ার পরই এখানে চলে এসেছি। প্রায় দু'মাস হয়ে গেল। যায়যায়দিন : কীভাবে ফিটনেস ঠিক রাখছেন? আরিফুল : প্রথম যখন এখানে এসেছি। তখন ১০-১২ দিন বাসা থেকেই বের হইনি। আমার বাসায় জিমের কিছু যন্ত্রপাতি আছে। ওইগুলো ব্যবহার করেছি। এখানে জাতীয় দলের ফুটবলার ইয়াসিন, রাকিব আছে। বরিশাল স্টেডিয়ামে একটা সুইমিংপুল আছে পরিত্যক্ত। পানি নেই। ওইখানে আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করি। আমরা নিজেদের মধ্যে একটা দূরত্ব রেখেই বল নিয়ে অনুশীলন করি। এটা আসলে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। যায়যায়দিন : ভয় লাগে না। এই করোনার মধ্যে বের হতে? আরিফুল : প্রথম প্রথম খুব ভয় লাগত। কিন্তু কি করব বলেন? ফিটনেস তো ধরে রাখতে হবে। আমরা ফুটবলের মানুষ। ফুটবল ছাড়া কতক্ষণ আর ভালো লাগে! আর আমাদের এখান থেকে স্টেডিয়াম খুবই কাছে। যখন বের হই মাস্ক পড়ে নেই। সব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা অনুশীলনে যাই। এখন তো রোজা রাখি। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যায়যায়দিন : আপনাদের ওইখানে করোনার পরিস্থিতি কেমন? আরিফুল : এখানে প্রথম দিকে অবস্থা ভালোই ছিল। তেমন আক্রান্ত ছিল না। কিন্তু মার্কেট খুলে দেওয়াতে ঝুঁকি বেড়েছে। দু'দিন আগে থেকে আবার সব বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমাদের সমস্যা নেই। কারণ আমরা তো আর মার্কেটে যাই না। যায়যায়দিন : সতীর্থদের কথা মনে পড়ে? আরিফুল : সতীর্থদের অনেক মিস করি। ঢাকায় খেলা। ক্লাবে অনুশীলন করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সেই ফিটনেস বাড়িতে বসে ধরে রাখাটা সম্ভব না। যায়যায়দিন : লিগ বাতিল হওয়ার প্রভাব ফুটবলারদের ওপর কতটা পড়বে? এতে করে কি আপনাদের ফিটনেস রক্ষার লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে পড়ল না? আরিফুল : এটা তো অবশ্যই। লিগ বাতিল হওয়াটা ফুটবলারদের জন্য অনেক খারাপ হয়েছে। কারণ বেশির ভাগ ফুটবলারই চিন্তা করছিল যে হয়তো দু-তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আবার খেলা শুরু হবে। যে কারণে সবাই যার যার বাসায় কষ্ট করে হলেও অনুশীলনটা চালিয়ে যাচ্ছিল। এখন যখন সবাই জানতে পারছে এবার আর খেলা হবে না। নিজেদের মধ্যে একটা আলসেমি চলে আসবেই। অর্থনৈতিক একটা ব্যাপারও আছে। এ নিয়ে মানসিকভাবেও ফুটবলাররা ভেঙে পড়বে। তবে আমি আমার নিজের ব্যাপারটা বলতে পারি। আমার ফুটবল ছাড়া ভালো লাগে না। তাই আমি অনুশীলন চালিয়েই যাব। যায়যায়দিন : করোনায় দেশবাসীর উদ্দেশে কিছু বলতে চান? আরিফুল : শপিং থেকে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। জীবনটা শুধু আপনার নিজের একার না। বাবা, মা পরিবারের কথা ভাবুন। বাসায় বাচ্চা থাকলে অন্তত তার মুখের দিকে তাকিয়ে বাইরে বের হবেন না। বড়রা হয়তো কষ্টটা কোনোমতে সহ্য করে নিবে। কিন্তু বাচ্চারা তো পারবে না। টাকা যদি বেশিই থাকে জামাকাপড়ের জন্য খরচ না করে এই সংকটকালে গরিব মানুষকে দিয়ে দিন।