ফুটবলারদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ এমিলির

ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ফুটবল। একটা সময় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে তারকা খ্যাতি অর্জন করেছেন যে ফুটবলার- তিনি ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি। এবারের মৌসুমে আছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। পায়ে ইনজুরির কারণে এ মৌসুমে মাঠে নামা হয়নি তার। তবে খেলা শুরু হলেই নামতে পারবেন বলে বিশ্বাস। হোম কোয়ারেন্টিনে কীভাবে কাটছে সময় জানিয়েছেন দৈনিক যায়যায়দিনকে। সেই সঙ্গে লিগ বাতিল হওয়া ও করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ফুটবলারদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন এই ফুটবলার।

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যায়যায়দিন : কেমন আছেন? কোথায় আছেন? এমিলি : ঢাকায় আমার বাসাতেই আছি। আলহামদুলিলস্নাহ ভালো আছি। যায়যায়দিন : ঘরোয়া ফুটবল আর জাতীয় দলে দীর্ঘদিন খেলেছেন। এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেছেন? এমিলি : আসলেই এ ধরনের পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়িনি। লিগ বাতিল হয়ে যাবে এমনটা চিন্তা করিনি। যায়যায়দিন : বাসায় সময়টা কেমন কাটছে? এমিলি : প্রায় দু'মাস হলো বাসায় আছি। বাইরে যেতে পারছি না। ফুটবল খেলতে পারছি না। ভালো লাগছে না। তবে আমার ৩ বছরের ছেলে তুরানকে এবারই এতটা সময় দিতে পেরেছি। যায়যায়দিন : লিগ বাতিল হওয়ার প্রভাব আপনাদের ফুটবলারদের ওপর কতটা পড়েছে? এমিলি : আসলে এখন যে পরিস্থিতি শুধু আমাদের দেশেই নয়। বিশ্বের সবখানেই সব সেক্টরেই করোনার প্রভাব পড়েছে। আমি মনে করি আমাদের ফুটবলেও সেটাই হয়েছে। লিগ বাতিল হওয়ায় অবশ্যই ফুটবলারদের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে যেই ফুটবলাররা খুবই কম টাকায় খেলে তারা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যায়যায়দিন : মাঠে ফুটবল নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ কবে হবে তারও নিশ্চয়তা নেই। বেশির ভাগ ফুটবলারের সঙ্গেই কথা বলে জেনেছি এই অবস্থায় একটা আলসেমি চলে আসবে। তাছাড়া অর্থনৈতিক দিক চিন্তা করে অনেকেই ভেঙে পড়ছেন। আপনার কি মনে হয় এর প্রভাব ফুটবলারদের ফিটনেসেও পড়বে? এমিলি : যারা খুব বেশি সমস্যায় আছে তাদের ক্লাব ও ফুটবল সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করা উচিত। আমি বলব আমরা যেহেতু ফুটবলার। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমাদের নিজেদের ফিট রাখতে হবে। এই সমস্যাটা তো সারাজীবনের না। দুই মাস হোক তিন মাস বা একটু বেশি। একটা সময় কিন্তু এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবেই। এই সময়টা ধৈর্য ধরতে হবে। যায়যায়দিন : আবার খেলা মাঠে গড়ালে? এমিলি : এটা অবশ্যই ঠিক বাসায় থেকে ফুটবলারদের বেশ ক্ষতি হয়ে যাবে। হঠাৎ খেলা শুরু হয়ে গেলে ফিটনেস নিয়ে একটা সমস্যায় পড়তে হবে। তাই বাসায় যতটা সম্ভব ফিটনেস নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। যায়যায়দিন : জাতীয় দলে শেষ কবে খেলেছিলেন? এমিলি : জাতীয় দলে শেষ খেলেছি ২০১৭ সালে। সেটা ভুটানের বিপক্ষে। যায়যায়দিন : এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাবেন না? এমিলি : আমার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। লকডাউন শুরু হওয়ার আগেও গেছি। সেখানে আমার বাবা-মা আছে। এই মুহূর্তে সেখানে না গিয়ে ঢাকায় থাকটাই উচিত হবে। তাই কষ্ট হলেও যাব না। যায়যায়দিন : করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে কিছু বলতে চান? এমিলি : একটা বিষয় খুবই খারাপ লাগছে। যে, যারা দিনমজুর বা চাকরি করছেন তারাতো দরকারে বের হচ্ছেন। কিন্তু অনেকেই অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। মার্কেট করতে গিয়ে নিজের ও পরিবারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক।