পাকিস্তানের ডোপ কেলেঙ্কারি

বাড়ছে বাংলাদেশের দুই পদক!

পাঁচ মাস পর ডোপ টেস্টের প্রতিবেদন পেয়েছে পাকিস্তান অ্যামেচার অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়া এই অ্যাথলেটদের কারণে কপাল খুলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের।

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
কাঠমান্ডুতে গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এসএ (দক্ষিণ এশিয়ান) গেমসের ১৩তম আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করে বাংলাদেশ। তবে দেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে আরও দুটি ব্রোঞ্জ পদক। এ আসরে ডোপ নিয়েছিলেন তিন পাকিস্তানি অ্যাথলেট। প্রায় পাঁচ মাস পর সম্প্রতি এই তিন অ্যাথলেটের ডোপ টেস্টের প্রতিবেদন পেয়েছে পাকিস্তান অ্যামেচার অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়া এই অ্যাথলেটদের কারণে কপাল খুলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। এবারের গেমসে ১১০ মিটার হার্ডলসে সোনা জেতেন পাকিস্তানি নাঈম, ৪০০ মিটারে সোনা জেতেন মেহবুব এবং ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জেতেন সামি উলস্নাহ। এই তিন অ্যাথলেটই আবার ৪ গুণিতক ১০০ মিটার এবং ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে অংশ নিয়েছিলেন। এই দুটি রিলেতেই ব্রোঞ্জ জেতে পাকিস্তান। কিন্তু এই দলের অ্যাথলেটরা নিয়ম অনুসারে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন। তাদের পদকও কেড়ে নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই দুটি রিলেতে চতুর্থ হওয়া বাংলাদেশ পেতে পারে ব্রোঞ্জ। বাংলাদেশের হয়ে ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে হাসান আলী, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবদুর রউফ ও সাইফুল ইসলাম অংশ নেন। আর ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে দৌড়ান জহির রায়হান, আবু তালেব, মাসুদ রানা ও সাইফুল ইসলাম। পদক দুটি যাতে বাংলাদেশে আসতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু জানান, 'পাকিস্তানের ডোপ কেলেঙ্কারির ঘটনা জানার পরপরই আমরা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিওএ) জানিয়েছি। সামনেই এসএ গেমসের আয়োজক কমিটির একটা সভা আছে। সেখানেই জানা যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। যদি ওদের পদক বাতিল হয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের দুটো ব্রোঞ্জ বাড়বে। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি একটা সুখবর পাব।' এবারের এসএ গেমসে ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো ফল করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১৯টি সোনার পাশাপাশি ৩২টি রুপা ও ৮৭টি ব্রোঞ্জ জেতেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা।