চলে গেলেন আবাহনীর হেলাল

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী হেলাল
অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। ওপেন হার্ট সার্জারি করানো হয়েছিল। সমস্যা ছিল কিডনিতেও। কদিন আগে আবার ব্রেন স্ট্রোক করায় ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। জীবন-মৃতু্যর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তিন দিন ধরে। শেষ পর্যন্ত জীবনের সঙ্গে কঠিন এই লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি গোলাম রব্বানী হেলাল। গত বৃহস্পতিবার ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন 'আবাহনীর হেলাল' নামে পরিচিত এই সাবেক তারকা। শনিবার দুপুরে (১২টার দিকে) মৃতু্য হয়েছে তার (ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। হেলালের মৃতু্য নিশ্চিত করেছেন আবাহনীর সাবেক ফুটবলার ও বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু, 'একটু আগেই ক্লাব থেকে ফোন করে হেলালের মৃতু্যর কথা জানাল।' ২০১৭ সালে ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল হেলালের। ব্যাংককে উন্নত চিকিৎসাও নিয়েছেন তিনি। বরিশাল থেকে উঠে আসা হেলাল ক্লাব ক্যারিয়ারে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন আবাহনীতে। এর মাঝে কিছুদিন ছিলেন বিজেএমসিতে। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত খেলেছেন জাতীয় দলে জার্সি গায়ে। ফুটবল ক্যারিয়ার শেষের পর হয়েছিলেন আবাহনীর পরিচালক। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্যও ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ফুটবলে হেলাল অবশ্য আলোচিত হয়ে আছেন আরও একটি কারণে। ১৯৮২ সালে আবাহনী ও মোহামেডানের খেলায় গোলযোগের কারণে আবাহনীর চারজন ফুটবলারকে জেল ও জরিমানা করা হয়েছিল। আশরাফউদ্দিন চুন্নু, কাজী আনোয়ার ও কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে হেলালকে ১৮ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল, যা দেশের ফুটবলের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হয়ে আছে। কদিন আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মৃতু্যবরণ করেন সত্তর দশকে ভিক্টোরিয়া ক্লাবে ফুটবল খেলোয়াড় নুর ইসলাম। মৃতু্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।