বিশ্ব খাদ্য সংস্থার শুভেচ্ছাদূত তামিম

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনো প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি অনেকের জীবনকেই আরও বেশি সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করার আশা রাখি যাতে ডবিস্নউএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে সহযোগিতা প্রয়োজন এমনসব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ার কাজে জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির (ডবিস্নউএফপি) গুডউইল দূত হয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দূত হিসেবে তামিম সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরবেন বাংলাদেশে ডবিস্নউএফপির বিভিন্ন কর্মকান্ড। সোমবার ডবিস্নউএফপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তামিমকে দূত করার কথা জানায়। এর আগে ক্রিকেটারদের মধ্যে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান। মাশরাফি ইউএনডিপি এবং সাকিব ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হন। জাতিসংঘ তাদের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, এইচআইভি ও এইডস কর্মসূচি, পরিবেশ কার্যক্রম, ইউএনডিপি, ইউনেস্কো, ইউনোডিসি, ইউএনএফপিএ, মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ, ইউনিডো, ইউনিফেম, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির অংশ হয়ে তারকা এই ক্রিকেটার জানান, ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হতে পেরে তিনি সম্মানিত, 'আমি জাতিসংঘের সংস্থা ডবিস্নউএফপির জাতীয় গুডউইল অ্যামবাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই সংস্থাটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে।' সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারিতে সংকটে পড়া মানুষের পাশে সক্রিয়ভাবে দাঁড়াচ্ছেন তামিম। তার আশা এবার জাতিসংঘের সঙ্গে যুক্ত থেকেও অবদান রাখতে পারবেন তিনি, 'যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনো প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি অনেকের জীবনকেই আরও বেশি সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করার আশা রাখি যাতে ডবিস্নউএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে সহযোগিতা প্রয়োজন এমনসব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে।' আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা তামিমকে নিজেদের কর্মসূচিতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশে ডবিস্নউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর রিচার্ড রাগান, 'তামিম একজন সফল ক্রিকেটার, সে দেশে এবং বিদেশে অনেকের কাছেই সমানভাবে প্রিয়। জনপ্রিয়তা ও নাগালের পাশাপাশি তামিমের রয়েছে কর্মক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের নৈতিকতা, মানুষের প্রতি সমবেদনা ও জনহিতকর কাজের স্পৃহা। ডবিস্নউএফপি পরিবারে তাকে পেয়ে আমরা ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত।' সংস্থাটি জানায়, জাতীয় গুডউইল অ্যামবাসেডর হিসেবে কাজ করার সময় তামিম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন কীভাবে ডবিস্নউএফপি সরকারের সহযোগিতায় ক্ষুধাশূন্যতা অর্জনের জন্য কাজ করে চলেছে। তামিম সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরবেন বাংলাদেশে ডবিস্নউএফপির বিভিন্ন কর্মকান্ড। যা দেশব্যাপী ৬৪টি জেলায় স্কুলে খাদ্য প্রদান, পুষ্টি ও জীবিকার পাশাপাশি কক্সবাজারে শরণার্থীদের নিয়ে অনেক ধরনের কাজ করে থাকে। ডবিস্নউএফপি বাংলাদেশে ১৯৭৪ সাল থেকে কাজ করছে এবং এ পর্যন্ত ১৫৫ মিলিয়ন অরক্ষিত ও খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে। ২০১৯ সালে ডবিস্নউএফপি বাংলাদেশে ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে।