নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা, শর্ত বাফুফের

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
তারা যে শুধু মাঠের ফুটবল নিয়েই ব্যস্ত তা নয়, লেখাপড়াতেও বেশ ভালো। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ৮ জন খেলোয়াড় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন। সেই নারী ফুটবলাররা হলেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন (৩.৮৩), ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা (৩.৫০), সাজেদা খাতুন (২.৫৮), রেহেনা আক্তার (৩.৭৫), স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না (৩.৯৩), শামসুন্নাহার সিনিয়র (৩.১০), আনাই মোগিনী (২.৫০) ও মাহফুজা খাতুন (৪.৪৭)। স্কুল পর্ব শেষ করা এই ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিতে চায় ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রম্নপ। তবে এখনই সংবর্ধনা দেওয়ার সুযোগ নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সংবর্ধনা দেওয়া যাবে এই ৮ ফুটবলারকে। শুধু ওয়ালটন নয়, নারী ফুটবলারদের এমন কৃতিত্বে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের সংবর্ধনা দেওয়ার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছে। বাড়ি থেকে ঢাকায় এনে তাদের মিষ্টিমুখ করানো হবে বলে বাফুফেকে প্রস্তাবও দিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে বাফুফে। তারা জানায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর যখন মেয়েরা ক্যাম্পে উঠবেন তখনই তাদের এই সংবর্ধনা দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে সংবর্ধনার নামে মিষ্টি তুলে দিয়ে আর হাতে একটা ফুলের তোড়া আর সস্তা কোনো উপহার দেবে- সেটাও মানবে না বাফুফে। কাভারেজ পেতে হলে সম্মানজনক কিছু দিতে হবে। বাফুফের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তার মতে, যারা সংবর্ধনা দেবে তারা কীভাবে দেবে, মেয়েদের কী উপহার দেবে, সেটা যেন আগেই নিশ্চিত করা হয়। উপহার অবশ্যই জাতীয় দলের মেয়েদের জন্য সম্মানজনক হতে হবে। এদিকে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, সুবিধাজনক সময়ে তাদের সংবর্ধিত করবে ওয়ালটন। ওয়ালটন গ্রম্নপের নির্বাহী পরিচালক (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস, মার্কেটিং) এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, 'বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সূচনা লগ্ন থেকেই আমরা ওয়ালটন পরিবার পাশে ছিলাম। নারী ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করেছি শুরু থেকেই। তাদের সাফল্যে গর্বিত হয়েছি, ব্যর্থতায়ও পাশে থেকেছি। আমরা ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে আমাদের নারী ফুটবল দলের ৮ জন খেলোয়াড় কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাদের অভিনন্দন জানাই। এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা তাদের সংবর্ধনা দিতে চাই। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, সুবিধাজনক সময়ে এই সংবর্ধনা দেব।'