প্রস্তুতি ম্যাচের পরামর্শ কুম্বলের

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
অনাকাঙ্ক্ষিত লম্বা বিরতির পর টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফেরা ঝুঁকিপূর্ণ। হুট করে দীর্ঘ পরিসরের সংস্করণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া হবে ক্রিকেটারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। চোটে পড়ার শঙ্কা থাকবে প্রবল। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় দেখালেন অনিল কুম্বলে। টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ রাখার পরামর্শ দিলেন ভারতীয় সাবেক লেগ স্পিনার। মাঠের ক্রিকেট বন্ধ গত মার্চ থেকে। এ সময় ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত অনুশীলন করে নিজেদের প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে ম্যাচ খেলতে এই প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। হঠাৎ খেলায় ফেরায় থাকবে নানা ঝুঁকি। থাকবে শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে সূচি। আগামী জুলাইয়ের তিন সপ্তাহে হবে তিনটি টেস্ট। কিন্তু কোনো টেস্টের আগেই প্রস্তুতি ম্যাচ রাখেনি ইসিবি। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন আইসিসির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে, 'আমি জানি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সম্ভাব্য টেস্ট সিরিজ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড, সেটি নির্ভর করছে সরকারের অনুমতি পাওয়ার ওপর। হঠাৎ করে টেস্ট খেলতে হলে ক্রিকেটারদের শরীরকে মানিয়ে নিতে হবে। কারণ ফাস্ট বোলারদের জন্য ৩০ ওভার-স্পিনারদের জন্য ৩০-৪০ ওভার করা সহজ হবে না।' এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'এমনকি ব্যাটসম্যানদের জন্যও, ব্যাটিংয়ের সময় তারা সাধারণত যে পেশীশক্তি ব্যবহার করে, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ম্যাচ পরিস্থিতিতে সবকিছুই সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যে করতে হয়। এগুলোর জন্য অনুশীলন করা হয় না, বিশেষ করে ঘরের কন্ডিশনে। তাই এটা গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট খেলার আগে সম্ভবত কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ রাখা যেতে পারে।' কয়েকদিন আগে কুম্বলের নেতৃত্বেই আইসিসি ক্রিকেট কমিটি করোনা পরবর্তী সময়ে আপাতত লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। আবার বল চকচকে করতে বাড়তি কোনো পদার্থ ব্যবহারের প্রস্তাবও করেনি। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশের পেস বোলাররা জানিয়ে আসছেন নিজেদের উদ্বেগ। এসব নিয়ে আলোচনার মাঝে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে কুম্বলে জানান নজর দিতে হবে বাইশ গজের চরিত্রে, 'ক্রিকেটে কিন্তু পিচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিচের চরিত্র বদলে ফেলে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সমান সুযোগ তৈরি করা যায়, আনা যায় ভারসাম্য।'