স্থানীয় ফুটবলারদের উন্নতিতেই আগ্রহ জেমি ডের

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
'আমি মনে করি সবার আগে আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের উন্নততর সুযোগ-সুবিধা ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা দরকার। আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের উন্নতি করা উচিত।'
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে নতুন মেয়াদে আগস্টে কাজ শুরু হবে ইংলিশ কোচ জেমি ডের। নতুন চুক্তিতে জেমিকে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাফুফে। সেটি হলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলার খুঁজে বের করা। তবে কোচ জেমি ডে প্রবাসী খুঁজে বের করার থেকে স্থানীয় ফুটবলারদের উন্নতি করতেই বেশি আগ্রহী। এরই মধ্যে কাতার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো খবর নেই। জেমির মতে কাতারের মতো পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশের নেই। কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল এবং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রম্নপের ৮ ম্যাচের চারটি হওয়ার পর করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ। কবে শুরু হবে তা নিশ্চিত নয়। 'ই' গ্রম্নপের ৫ দেশের মধ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বেশি খারাপ ভারত ও বাংলাদেশের। তাই সব দেশের অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফের খেলা শুরু করা কঠিন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের জন্য। তবে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার কিন্তু তাদের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ছে। আগামী সপ্তাহেই দেশটির আবাসিক ক্যাম্প শুরু হবে। ১২ জুন অনুশীলন শুরুর দিনক্ষণ নির্ধারণ করে ক্যাম্পে ৩৪ ফুটবলারকে ডেকেছেন কাতারের স্প্যানিশ কোচ সানচেজ। কাতার 'ই' গ্রম্নপের শীর্ষে আছে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে, ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ওমান। বাংলাদেশ গ্রম্নপের তলানিতে ১ পয়েন্ট নিয়ে। বিশ্বকাপ আর এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের কিছু পাওয়ার নেই। এখন খেলাগুলো শেষ করাটাই প্রধান লক্ষ্য। যে কারণে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচও নেই। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে নতুন মেয়াদে চাকরি শুরু হবে ইংলিশ কোচ জেমি ডে'র। তাই এখনই জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিয়ে কোনো টেনশনও নেই বাফুফের। টেনশন নেই জেমিরও। কারণ ৩ মাস কাগজ-কলমে তিনি বাংলাদেশের কোচ নন। যদিও তিনি ইংল্যান্ড থেকে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ওপর নজর রাখছেন সৌজন্য দায়িত্ব পালন হিসেবে। কাতার তো মাঠে নেমে পড়ছে। বাংলাদেশ কবে শুরু করতে পারে জাতীয় দলের অনুশীলন? জবাবে জেমি ডে বললেন, 'কাতারের সুযোগ-সুবিধা ও বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা কিন্তু এক নয়। কাতারে ফুটবলারদের নিরাপত্তা দেয়ার মতো প্রথম শ্রেণির সুযোগ-সুবিধা আছে। তাই তাদের পক্ষে এখনই প্রস্তুতি শুরু সম্ভব। বাংলাদেশের পক্ষে এটা কতটা সম্ভব জানি না। এটা বলতেই হয় সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে কাতারের চেয়ে আমরা অনেক পেছনে।' বাফুফের যে একাডেমি আছে সেখানে কি আইসোলেশনের মাধ্যমে জাতীয় দলের অনুশীলন সম্ভব? কিংবা বিকেএসপিতে রেখে? জেমি ডের উত্তর, 'আসলে একাডেমির ওই জায়গাটা জাতীয় দলের ফুটবলারদের থাকার মতো স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আর বিকেএসপির টার্ফ, সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম একটু পুরানো হলেও ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সেখানকার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা জাতীয় দলের ফুটবলারদের উপযোগী নয়। সবকিছু অত্যাধুনিক করা হলে বিকেএসপি হতে পারে উপযোগী ট্রেনিং সেন্টার। এর আগে ওখানকার সুযোগ-সুবিধা উন্নতির কথা বলা হয়েছিল। বাফুফেও জানে। কিন্তু হয়নি। তাই পল স্মলি (সাবেক টেকনিক্যাল ডিরেক্টর) ওখানে ক্যাম্প করার অনুমতি দেয়নি।' প্রসঙ্গ এসেছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি ফুটবলার বিষয়েও। এ প্রসঙ্গে জেমি বলেন, 'আমরা এখন অন্যান্য (বিদেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত) ফুটবলারের দিকে তাকিয়ে। এটা কোনো সহজ প্রক্রিয়া নয়। এটি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। আমি মনে করি সবার আগে আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের উন্নততর সুযোগ-সুবিধা ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা দরকার। আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের উন্নতি করা উচিত। ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডিফেন্ডার তারিক কাজী বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন এবং এই বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসে যোগ দিয়েছিলেন।