সাফল্যের রাজা কাফুর পঞ্চাশ

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে। পরে হয়ে যান ডিফেন্ডার। অনেকের মতে, সর্বকালের সেরা রাইট-ব্যাক তিনি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের অন্যতম সফল তারকা কাফুর অর্জনের ভান্ডারে কমতি নেই। কী জেতেননি তিনি; দুটি করে বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা, একবার উঁচিয়ে ধরেছেন ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ। ক্লাব ফুটবলেও তার সাফল্য আকাশছোঁয়া; সাও পাওলোয় সব জয়ের পর রোমাকে জেতান ইতালিয়ান সিরি'আ। এসি মিলানের হয়ে পেয়েছেন লিগের পাশাপাশি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ। ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল। দিয়েছেন ২০০২ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপ জয়ে দেশকে নেতৃত্ব, ব্রাজিলের সবচেয়ে বেশি ১৪২টি ম্যাচ খেলার রেকর্ডধারী কাফু রোববার পূর্ণ করলেন জীবনের ইনিংসের হাফসেঞ্চুরি। ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ফাইনালের আগে মাত্র দুটি ম্যাচে কিছুক্ষণের জন্য বদলি নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেখানে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে রবের্তো দোনাদোনিকে মার্কিংয়ে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয় আপনাকে। কোচ কার্লোস আলবের্তো পেরেইরা যখন আপনাকে বেঞ্চ থেকে মাঠে নামতে বললেন, তখন আপনার মাথার মধ্যে কি ভাবনা খেলা করছিল? কাফু: জর্জিনিয়োর জন্য আমার খারাপ লাগছিল। একই সময়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়ে খুব ভালোও লাগছিল। ভীষণ রোমাঞ্চকর একটা মুহূর্ত ছিল। আমি প্রস্তুত ছিলাম। যদি তেমন কোনো পরিস্থিতি আসে, সেক্ষেত্রে মানসিক ও শারীরিকভাবে আমি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে প্রস্তুত ছিলাম। ইতালির বিপক্ষে ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। সেটি ছিল তাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ শিরোপা।) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি প্রসঙ্গে বললেন, 'খুশির সীমা ছিল না। মিশন সফল হওয়ার অনুভূতি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ। আমরা হোটেলে ফিরেও সবাই উদযাপন করেছিলাম। কেউ তার পরিবারের সঙ্গে, কেউ তাদের বন্ধুদের সঙ্গে। কয়েকজন গিয়েছিল নৈশভোজে, কেউবা পানশালায়। আমরা সবাই উচ্ছ্বসিত ছিলাম। অভাবনীয় রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি ছিল।'