সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্বস্তির খবর মিলল প্রিমিয়ার লিগে ক্রীড়া ডেস্ক স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি নিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। লিগে শেষ রাউন্ডের পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি কাউকে। করোনাভাইরাসের কারণে লিগ বন্ধ হয়েছিল ১৩ মার্চ থেকে। এই পরিস্থিতির মাঝেই লিগের খেলা আবার শুরু হবে ১৭ জুন থেকে। তবে এখনো সংক্রমণের প্রকোপ থাকায় দুই সপ্তাহ ধরেই খেলোয়াড় ও ক্লাবের স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করে আসা হচ্ছিল। এ পর্যন্ত স্ক্রিনিং হয়েছে ৬ রাউন্ড। সর্বশেষটি হয়েছে ৬ ও ৭ জুন। অবশ্য এর আগের রাউন্ডে একজন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছিল। সেই রাউন্ডে পরীক্ষা করা হয়েছিল ১ হাজার ১৯৭ জনের। এদের মাঝে টটেনহামের একজনের পজিটিভ ফলাফল আসে। ফলে প্রিমিয়ার লিগে তাকে নিয়ে মোট আক্রান্ত দাঁড়ায় ১৩ জনে। সর্বশেষ রাউন্ডে পরীক্ষা হয় ১ হাজার ১৯৫ জন খেলোয়াড় ও ক্লাব স্টাফের। তাদের সবার ফলাফলই নেগেটিভ এসেছে। এমনকি ইতিবাচক ফল ছিল চতুর্থ রাউন্ডেও। ১ হাজার ১৩০ জনের করোনা পরীক্ষায় কাউকেই পজিটিভ পাওয়া যায়নি। আর তাই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ নতুন করে মাঠে গড়াবে ১৭ জুন। সেদিন শুরুতেই মুখোমুখি হবে অ্যাস্টন ভিলা ও শেফিল্ড ইউনাইটেড। পরের ম্যাচে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। 'অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া' পেলেন ক্লার্ক ক্রীড়া ডেস্ক অস্ট্রেলিয়াকে ২০১৫ বিশ্বকাপ জেতাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। এমন অনেক অবদানই তিনি রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে। সেই অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই তাকে রাষ্ট্রীয় 'অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া' খেতাবে সম্মানিত করা হয়েছে। সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার ও স্টিভ ওয়াহকেও দেওয়া হয়েছিল একই সম্মাননা। সেই তালিকায় এবার ?যুক্ত হলো ক্লার্কের নামটিও। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ক্লার্ক। অবসরে যাওয়ার আগে অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন তিনি। এই সাবেক ক্রিকেটার অজিদের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানদেরও একজন। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে দুর্দান্ত নৈপুণ্য উপহার দিয়েছিলেন তিনি। ব্রিটেনের রানির জন্মদিনে এই খেতাব দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ও অন্যদের। মাইকেল ক্লার্কের পাশাপাশি এবার এই সম্মান পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার লিন লারসেন। ক্লার্ককে নির্বাচিত করার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, 'নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড় হিসেবে এবং সমাজে অসাধারণ অবদান রাখা।' আর খেতাব পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্লার্ক সোমবার অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, 'সম্মানজনক এই স্বীকৃতি পেয়ে কীভাবে কৃতজ্ঞতা জানাব, আমার ঠিক জানা নেই। এত এত নায়কদের পাশে থাকতে পেরে যেমন বিস্মিত, তেমনি এটা বলতেও আমার গর্বের শেষ নেই যে ক্রিকেট আমাকে কল্পনার চেয়েও বেশি কিছু দিয়েছে। এই স্বীকৃতি আরেকটি উদাহরণ, কেন ক্রিকেট আমার এতটা কাছের। পরিবার, বন্ধু, ভক্ত ও সতীর্থদের সমর্থন ছাড়া আজকে আমি এই পর্যায়ে থাকতে পারতাম না। এই স্বীকৃতি ও প্রশংসা আমার অবদানের জন্য যতটা, ঠিক ততটাই আপনাদের সবার জন্য।' এশিয়ার ফুটবলার হাসিবির রেকর্ড ক্রীড়া ডেস্ক এশিয়ান ফুটবলার হিসেবে বুন্দেসলিগায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন জাপানের সাবেক অধিনায়ক মাকোতো হাসিবি। শনিবার জার্মানির সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবল আসরে নিজের ৩০৯তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন এই ৩৬ বছর বয়সি সেন্টার-ব্যাক। তালিকার শীর্ষে উঠতে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফরোয়ার্ড চা বুম-কুনকে। অনন্য অর্জনের ম্যাচটিতে অবশ্য উদযাপন করার সুযোগ পাননি হাসিবি। তার দল আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হেরে গেছে মাইনজের কাছে। 'অন্য এশিয়ান খেলোয়াড়দের চেয়ে বুন্দেসলিগায় বেশি ম্যাচ খেলতে পারায় আমি খুবই গর্বিত। তবে আমার কাছে দলের জয়টা অনেক, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ', ম্যাচ শেষে বুন্দেসলিগার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে বলেন হাসিবি। ২০০৮ সালে ভলফসবুর্গের হয়ে খেলতে বুন্দেসলিগায় পাড়ি জমিয়েছিলেন হাসিবি। দলটির হয়ে ২০০৮-০৯ মৌসুমে জিতেছিলেন লিগ শিরোপা। তাদের জার্সিতে পাঁচ বছর কাটানোর পর ২০১৩-১৪ মৌসুমে নুরেমবার্গে খেলেছিলেন তিনি।