বার্নলির জালে ম্যানসিটির গোল উৎসব

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
চলতি মৌসুমে লিভারপুলের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে শিরোপা দৌড় থেকে ছিটকে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে তাতে আকাশি-নীল জার্সিদের জয়ের ক্ষুধা কমেনি একটুও। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে বার্নলিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে পেপ গার্দিওয়ালার দল। দলটির হয়ে গোল করেন ফিল ফোডেন, রিয়াদ মাহরেজ এবং ডেভিড সিলভা। এই জয়ে ৩০ ম্যাচ থেকে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দুইয়ে আছে ম্যানসিটি। প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়া লিভারপুল ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। আর ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে আসরে ১১তম অবস্থানে আছে বার্নলি। এ ম্যাচে ম্যানসিটি রুখতে পারলে বৃহস্পতিবার অ্যানফিল্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে জিতেই শিরোপা জয়ের উৎসবটা সেরে ফেলার আশায় থাকতো লিভারপুল। কিন্তু গার্দিওলার দলকে বার্নলির পক্ষে রুখে দেওয়া এতই সহজ? প্রথম ২০ মিনিট ওরা একটু চেষ্টা করেছে প্রতিটি বলের পেছনে ছুটে জায়গা ভরাট করে খেলার। মনে হচ্ছিল খেলাটা জমতেও পারে। আসলে ভুল মনে হচ্ছিল। ফোডেন-মাহরেজ-সিলভারা আক্রমণের গতিপথ পাল্টে খেলা শুরু করতেই বার্নলির জারিজুরি শেষ। ২২ মিনিটে শর্ট কর্নার থেকে গোল করে সিটিকে এগিয়ে নেন প্রথম ফিল ফোডেন। বিরতির কাছাকাছি সময়ে রিয়াদ মাহরেজের জোড়া গোলে ৩-০। তৃতীয় গোলটি মাহরেজ করেছেন সার্জিও আগুয়েরোর এনে দেওয়া পেনাল্টি থেকে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ দেখলো 'ফোডেন-শো'। ডাভিড সিলভাকে দিয়ে করালেন চতুর্থ গোল। আর মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার আগে ৬৩ মিনিটে করে গেলেন নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল। দুটি গোল পরস্পরের সঙ্গে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নামতে পারে। গার্দিওলা মাহরেজকেও হ্যাটট্রিকের সুযোগ দেননি, তুলে নিয়েছেন ফোডেনকেও। টিকি-টাকার সার্থক রূপায়ণকারীর কাছে হয়তো দলগত খেলাটাই আসল, ব্যক্তির অর্জন নয়। সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর নীতিতে এদিন শুরুর একাদশে আটটি বদল করেছেন। এই বিলাসিতা যদিও গার্দিওলাই দেখাতে পারেন। বেঞ্চে এত এত দক্ষ খেলোয়াড়। করোনা-বিরতিতে কয়েকজন চোট থেকেও সেরে উঠেছেন। ওহ্‌, আরেকটি কারণ হতে পারে, বার্নলির বিপক্ষে বেশি নির্মম হতে চাননি। পাঁচ গোল দেওয়ার পরে প্রতিপক্ষকে দেখানোর কিছু থাকে না। আর বার্নলি! ইদানীং সিটির মুখোমুখি হওয়া মানেই তাদের পেটপুরে গোল খাওয়া। গত ডিসেম্বরে নিজেদের মাঠে হেরেছে ৪-১ গোলে। ফিরতি ম্যাচে হারল পাঁচ গোলে। এর আগের সর্বশেষ দুই ম্যাচেও ইতিহাদ থেকে ফিরে গেছে পাঁচটি করে গোল খেয়ে। দৃশ্যত বার্নলিকে একেবারে ছিঁড়েখুঁড়ে খেতে পারতো ম্যানসিটি। প্রধানতম নেকড়েটির নাম ফোডেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার পর মাত্রই ২০ বছর বয়সি ইংলিশ মিডফিল্ডার বলেছেন, সিটির জার্সি গায়ে এটাই তার সেরা ম্যাচ। প্রতিদিন তিনি একটু একটু করে শিখছেন! শিক্ষাটা সম্পন্ন হলে ফোডেন কীভাবে ফুটবেন তা শুধু সময়ই জানে।