ম্যাচ না খেললে ট্রেনিংটা পরিপূর্ণ হয় না

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার সাইফুল বারী টিটু। মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধাসহ খ্যাতনামা সব ক্লাবের হয়ে বর্ণিল খেলোয়াড়ি জীবন শেষে শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘদিন। করোনাকালে ফুটবলারদের মতো এই কোচেরও সময় কাটছে বাসাতেই। এই পরিস্থিতিতে দেশের ফুটবলারদের ধৈর্য ধরে মানসিকভাবে শক্ত থাকার পরামর্শ তার। সে সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরছেন ফুটবলাররা, এটা জাতীয় দলের জন্য আশার আলো বলে মনে করেন টিটু।

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সাইফুল বারী টিটু
যায়যায়দিন : করোনার কারণে মাঠে ফুটবল নেই। ফুটবলাররা বেকার সময় কাটাচ্ছে। আপনিও তো একজন সাবেক ফুটবলার, এমন সময় আগে কখনো পার করেছেন? টিটু : মাঠে ফুটবল ছিল না এমন সময় আমরা অনেক পার করেছি আগে। ২০০৮ সাল থেকে ঘরোয়া ফুটবলটা নিয়মিত হয়েছে। আগে প্রায়ই তো লিগ বন্ধ থাকতো। যায়যায়দিন : কিন্তু এরকম ঘরবন্দি সময় কি আপনারা পার করেছেন? টিটু : এই পরিস্থিতিটা তো একদমই নতুন। আমাদের সময় খেলা বন্ধ থাকলেও আমরা হয়তো ভাড়ায় ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে খেলতে যেতাম। নিজেরা নিজেরা একসঙ্গে অনুশীলন করতাম। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি আসলে ফুটবলারদের তো কিছুই করার নেই। যায়যায়দিন : করোনার প্রভাব ফুটবলারদের ফিটনেসে কতটা পড়েছে বলে আপনি মনে করেন? টিটু : প্রথম দিকে আমার ক্লাবের ফুটবলারদের আমরা কিছু ট্রেনিংয়ের লিস্ট দিয়ে দিয়েছিলাম। এই প্রতিকূল অবস্থায় ফুটবলারদের জন্য ট্রেনিং করাটা সত্যিই অনেক কঠিন। প্রথম দিকে অনেকদিন তারা বাসায় রানিং করার সুযোগ পায়নি। সবার বাসায় তো আর ট্রেডমিল নেই। যে কারণে তারা শুধু মাসল ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছে। ম্যাচ না খেলতে পারলে আসলে ফিটনেসটা পরিপূর্ণ হয় না। জাতীয় দলের ফুটবলারদের জন্য আশার আলো হচ্ছে তাদের সামনে ম্যাচের একটা সিডিউল দেওয়া হয়েছে। যায়যায়দিন : একজন ক্লাবের কোচ হিসেবে এবং জাতীয় দলের সাবেক কোচ হিসেবে এই পরিস্থিতিতে আপনি ফুটবলারদের কী পরামর্শ দিতে চান? টিটু : আমি বলব এই অবস্থায় ফুটবলারদের মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। এক সময় মাঠে ফিরতে পারলে সবাই একসঙ্গে ভালো কাজ করতে পারব। যারা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাবে- তাদের জন্য তো একসঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ থাকছে। যায়যায়দিন : এই অবস্থায় যদি জাতীয় দলের ম্যাচগুলো হয়ও। তাহলে সেখানে কতটা ভালো করতে পারবে ফুটবলাররা? যেখানে তারা এত দীর্ঘ সময় ধরে মাঠের বাইরে? টিটু : এই পরিস্থিতিটা তো শুধু আমাদের দেশে না। বিশ্বের সব দেশেই একই অবস্থা। আমরা যেমন ট্রেনিং করতে পারিনি। অন্যরাও তো পারেনি। এটা ঠিক যে আমরা খেলার মধ্যে থাকলে আরও ভালো হতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। ক্যাম্প যদি আগস্টে শুরু হয় তাহলে ফুটবলাররা ম্যাচের আগে প্রায় ৬ সপ্তাহ সময় পাবে ট্রেনিংয়ের জন্য। এই সময়টা যথেষ্ট। সবাই সম্মিলিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে মাঠে সেরাটা দিলে অবশ্যই ভালো করা সম্ভব। যায়যায়দিন : এ মৌসুমে তো লিগটা বাতিলই হয়ে গেল। পরিস্থিতি যদি এমনই থাকে। তাহলে কি নতুন মৌসুম শুরু করা সম্ভব হবে বলে আপনি মনে করেন? টিটু : এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেভাবে চলছে। আমাদেরও সেভাবে চলতে হবে। এখন ফুটবলের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যদি সব কিছু দেখে মনে করে মাঠে খেলা রাখা সম্ভব। তাহলে নিশ্চই তারা সেটা করবে। হয়তো মাঠে দর্শক কম আসবে। বা একদমই দর্শক এলো না। কিন্তু খেলা ছাড়া ফুটবলারদের ফিটনেস ঠিক রাখা সম্ভব হবে না।