মধ্যমাঠেই স্বাচ্ছন্দ্য নাঈমের

বাংলাদেশ জাতীয় দলের পরবর্তী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলোর তিনটি হবে নিজেদের মাঠে। আর এই ম্যাচগুলো থেকে পয়েন্ট অর্জন করবে বাংলাদেশ- এমনটাই মনে করছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মিডফিল্ডার মোহাম্মদ নাঈমউদ্দিন। জাতীয় দলের জার্সিটা এখনো ওঠেনি গায়ে। তবে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে কখনো দলে জায়গা করে নিবেন সেই স্বপ্নই দেখেন। মনেপ্রাণে একজন মিডফিল্ডার নাঈম। কোনো ম্যাচ জয়ে পেছনে থেকে নায়কের ভূমিকা পালন করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মিডফিল্ডার মোহাম্মদ নাঈমউদ্দিন
যায়যায়দিন : কেমন আছেন? কোথায় আছেন? নাঈম : আমাদের বাড়ি সিলেটে আছি। ভালো আছি। যায়যায়দিন : বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুশীলন কীভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন? নাঈম : প্রথমদিকে তো বাসা থেকে বের হওয়ার কোনো উপায়ই ছিল না। তখন বাসাতেই কোর প্র্যাকটিস করতাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে এখানে একটা মাঠ এক ঘণ্টার জন্য ভাড়া নিয়ে আমরা প্রিমিয়ার লিগের কয়েকজন ফুটবলার একসঙ্গে অনুশীলন করছি। যায়যায়দিন : আপনার ফিটনেসের এখন কী অবস্থা? নাঈম : এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছি। কারণ ম্যাচ খেলা হচ্ছে। নিয়মিত জিমও করতে পারছি। যায়যায়দিন : প্রথম বিভাগ ফুটবল দিয়ে শুরু। তারপর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ তারপরই বসুন্ধরা কিংস। বর্তমানে তো তারা বিগ বাজেটের দল। সেই দল ছেড়ে শেখ রাসেলে কেন? নাঈম : শেখ রাসেলও ভালো দল। একজন মিডফিল্ডার হিসেবে মধ্য মাঠে খেলতে আমার ভালো লাগে। কিংসে আমাকে লেফটব্যাক রাইট ব্যাকে খেলতে হতো। মনে হয়েছে শেখ রাসেলে হয়তো খেলার সুযোগটা ভালোভাবে পাব। সব মিলে ভালো মনে হয়েছে তাই এখানে। যায়যায়দিন : একটা ম্যাচে যে গোল করে তাকে নিয়েই তো বেশি মাতামাতি হয়। মধ্যমাঠে যারা থাকেন তাদের গোল করার সুযোগটা কম হয়। পেছন থেকে নায়কের ভূমিকা পালন করেন। এটা নিয়ে কী আফসোস হয় কখনো? নাঈম : শুধু গোল করে নয়, গোল করাতে পারারও একটা আনন্দ আছে। আমার পজিশনে আমার কাজটা ঠিকমতো করতে পারলেই তৃপ্ত হই। কখনই আফসোস হয় না। যায়যায়দিন : জাতীয় দলে খেলা হয়নি। স্বপ্ন আছে? নাঈম : একজন ফুটবলারের প্রথম স্বপ্নই থাকে জাতীয় দলে খেলা। আমারও অবশ্যই আছে। দেশের জন্য কিছু করার। যায়যায়দিন : আমাদের জাতীয় দলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী ম্যাচগুলো নিয়ে কতটা আশাবাদী? নাঈম : আমাদের বাকি ৪ ম্যাচের তিনটাই তো ঘরের মাটিতে। স্বাগতিক হওয়ার সুবিধাটা তো আছেই। বর্তমান দলটি খুবই ভালো একটি দল। আপনি যদি আগের ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স বিচার করেন আমরা কিন্তু অন্তত দুটি ম্যাচে জিততে পারতাম। ভারতের বিপক্ষে তো তাদের মাটিতে জেতা ম্যাচটাই ড্র হয়েছে। যায়যায়দিন : লিগটা তো বাতিল হয়ে গেল। ফুটবলাররা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হলো? এই পরিস্থিতি যদি আরও দু'বছর থাকে তাহলে কী করবেন? নাঈম : লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ফুটবলাররা অনেকদিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ম্যাচের মধ্যে না থাকায় ফিটনেসের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেক ফুটবলারই ক্লাব থেকে ৬০ ভাগের মতো টাকা নিয়েছে। অনেকে হয়তো খুবই অল্প টাকা পেয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি যাই হোক। আমার মনে হয় না খেলা বন্ধ থাকবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন খেলা চলছে। আমাদের দেশেও কোনো না কোনো উপায়ে আবার লিগ শুরু হবে বলে আমি মনে করি। যায়যায়দিন : আপনার প্রিয় ফুটবলার কে? নাঈম : দেশের বাইরে রোনালদিনহো। বর্তমানে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দেশে ইমন মাহমুদ (কিংসের) ভাইয়ের খেলা খুব ভালো লাগে। উনি মানুষ হিসেবেও খুব ভালো। যায়যায়দিন : আপনাদের ওইখানে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি কী? মানুষ নিয়মকানুন মেনে চলছে? নাঈম : সিলেটের বর্তমান পরিস্থিতি বেশ খারাপ। বিশেষ করে শহর এলাকাতে। এখানে সবকিছু স্বাভাবিকই বলা যায়। মানুষ নিয়মকানুন তেমনভাবে মানছে না। তাতে যে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে সেটা অনেকেই বুঝতে পারছে না।