জুভেন্টাসে আর্থার বার্সেলোনায় পিয়ানিচ

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
দলবদলের গুঞ্জন ছিল বেশ আগে থেকে। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হলো। ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করলেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থার মেলো। অন্যদিকে জুভেন্টাস থেকে বার্সেলোনায় আসছেন মিরালেম পিয়ানিচ। এ খবর নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ। বার্সেলোনা থেকে আর্থারকে পেতে জুভেন্টাসের খরচ হচ্ছে ৭৫.২ মিলিয়ন ইউরো। অন্যদিকে পিয়ানিচকে দলে নিতে বার্সেলোনাকে গুনতে হবে ৬০ মিলিয়ন ইউরো। দুজনই চলতি মৌসুমের শেষে ক্লাব ছাড়বেন। এর আগে গত মৌসুমে নিজ দেশের ক্লাব গ্রেমিও ছেড়ে বার্সেলোনায় এসেছিলেন আর্থার। এখন পর্যন্ত কাতালানদের জার্সি জড়িয়ে তিনি খেলেছেন ৭২টি ম্যাচ। করেছেন ৪টি গোল। মেডিক্যাল পর্ব শেষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরও হয়ে গিয়েছিল, অপেক্ষা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটাও এসে গেছে। অদল-বদল চুক্তিতে জুভেন্টাসে নাম লিখিয়েছেন আর্থার মেলো, আর ইতালিয়ান ক্লাবটি থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন মিরালেম পিয়ানিচ। সোমবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রথমে আর্থারর ব্যাপারে জুভেন্টাসের সঙ্গে সমাঝোতায় পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করে বার্সেলোনা। খানিক পর পিয়ানিচকে দলে আনার বিষয়টিও জানায় কাতালানরা। ৭২ মিলিয়ন ইউরোতে আর্থারকে জুভেন্টাসের কাছে বিক্রি করেছে বার্সেলোনা। আর চার বছরের চুক্তিতে পিয়ানিচকে আনতে তাদের খরচ হয়েছে ৬০ মিলিয়ন ইউরো। দুই মিডফিল্ডারের অদল-বদলের চুক্তিতে বার্সেলোনার লাভ ১২ মিলিয়ন ইউরো। চুক্তি সম্পন্ন হলেও দুই খেলোয়াড় চলতি মৌসুম বর্তমান ক্লাবের সঙ্গেই থাকবেন। ২০২০-২১ মৌসুমে তারা যোগ দেবেন নতুন ক্লাবে। অর্থাৎ, বার্সেলোনার সঙ্গে চলতি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত খেলবেন আর্থার। ২০১৮ সালে গ্রীষ্মের দলবদলে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব গ্রেমিও থেকে বার্সেলোনায় নাম লিখিয়ে ২৩ বছর বয়সি আর্থার সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন লিওনেল মেসিকে। আর সামনের মৌসুমে খেলবেন তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। পিয়ানিচের ক্ষেত্রে বিষয়টা উল্টো। রোনালদোর সঙ্গে খেলে এসে সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন মেসিকে। বার্সেলোনা বসনিয়া-হার্জেগোভিনার এই মিডফিল্ডারের বাইআউট ক্লজ ধরেছে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো। লা লিগায় গত শনিবার সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর দলবদল চূড়ান্ত করতে তুরিনে যান আর্থার। সেখানে মেডিক্যাল হওয়ার পর দলবদলের কাজ সারেন তিনি। প্রথম মৌসুমে বার্সেলোনায় আলো ছড়িয়েছিলেন আর্থার। অনেকেই তার মধ্যে দেখেছিলেন দলটির কিংবদন্তি চাভির ছায়া। শুরুর সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি আর্থার। পরে জায়গা হারিয়ে ফেলেন শুরুর একাদশে।