বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের উদীয়মান উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহীম। ক্লাবপর্যায়ে খেলছেন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে। করোনা পরিস্থিতিতেও নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। জানালেন মাঠে ফিরতে শতভাগ প্রস্তুত আছেন তিনি। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কিছু পয়েন্ট অর্জন করবে জাতীয় ফুটবল দল- এমনটাই প্রত্যাশা তার।

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মাঠে ফিরতে শতভাগ প্রস্তুত ইব্রাহীম
যায়যায়দিন : কোথায় আছেন? কেমন আছেন? ইব্রাহীম : লিগ স্থগিত হওয়ার পর মার্চের দিকে কক্সবাজারে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। ভালো আছি। যায়যায়দিন : আপনার ফিটনেসের কী অবস্থা আর কিভাবে ফিটনেস ধরে রাখছেন? ইব্রাহীম : আমি সবসময় চেষ্টা করি ফিট থাকতে। প্রথম দিকে ঘরে কোর ট্রেনিংগুলো করতাম। এখন স্থানীয় স্কুলের মাঠে ট্রেনিং করতে যাই। ফিটনেস আলহামদুলিলস্নাহ ভালো। আমি মাঠে ফিরতে শতভাগ প্রস্তুত আছি। যায়যায়দিন : করোনা পরিস্থিতিতে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করছেন? ইব্রাহীম : খুব বেশি দরকার ছাড়া বাইরে খুব একটা বের হয় না। মাঠে গেলেও মাস্ক, গস্নাভস, স্যানিটাইজার সঙ্গে নেই। ফিরে এসে গোসল করে কাপড় ঠিকমতো ধুয়ে নিই। যখন বাইরে লোকজন কম থাকে তখনই মাঠে ট্রেনিং করতে যাই। একজন ফুটবলার হিসেবে ফিটনেস ধরে রাখাটা যেমন জরুরি। এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত থাকটাও তেমন দরকারি। যায়যায়দিন : বাসায় বন্দি থাকতে বোরিং লাগে না? কিভাবে সময় পার করেন? ইব্রাহীম : খারাপ তো লাগেই। কিন্তু কী আর করার আছে। অবসর সময়ে মোবাইলে গেম খেলি। অনলাইনে দেশের খবরাখবর সম্পর্কে খোঁজ রাখার চেষ্টা করি। যায়যায়দিন : ক্লাব ফুটবলে তো বেশ ভালো করছেন। জাতীয় দলের হয়েও এক গোল করেছেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? ইব্রাহীম : দেশের জন্য অবশ্যই ভালো কিছু করতে চাই। বাংলাদেশ আবারও সাফ শিরোপা জিতবে। আর সেই দলের হয়ে আমিও খেলব সেই স্বপ্নটা তো আমার মধ্যে আছে। যায়যায়দিন : ক্লাব সতীর্থদের কতটা মিস করছেন? কোচের সঙ্গে যোগাযোগ হয় কিনা? ইব্রাহীম : ক্লাব সতীর্থদের তো অবশ্যই অনেক মিস করি। জাতীয় দলের কোচ জেমি ডের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ হয়। জাতীয় দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপে কোচ বিভিন্ন ট্রেনিংগুলো পাঠান। ওইগুলো নিয়মিত করছি। যায়যায়দিন : জাতীয় দলে আপনাদের পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে কতটা আশাবাদী? ইব্রাহীম : আমাদের চার ম্যাচের তিনটিই ঘরের মাটিতে। আমরা ওই ম্যাচগুলো থেকে কিছু পয়েন্ট আশা করতেই পারি। যায়যায়দিন : জেমিকে আরও দু'বছর কোচ হিসেবে পাচ্ছেন। তাতে দল ও আপনারদের কী ধরনের উপকার হবে? ইব্রাহীম : জেমি মানুষ হিসেবে খুব ভালো। অনেক ভালো ট্রেনিং করান। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে আছেন। তাই তার সঙ্গে আমাদের খেলোয়াড়দের একটা ভালো বোঝাপড়া আছে। তার সঙ্গে আরও দুই বছর থাকতে পারায় আমি মনে করি আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। যায়যায়দিন : লিগ তো বাতিল হয়ে গেল। তার প্রভাব কতটা খেলোয়াড়দের ওপর পড়েছে? ইব্রাহীম : লিগ বাতিল হওয়াতে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে ফুটবলারদের ফিটনেসের ওপর। খেলার মধ্যে থাকলে যতটা ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব। একা একা ঘরে বসে ততটা সম্ভব নয়। তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুটবলাররা। বিশেষ করে যারা খুব অল্প টাকায় বিভিন্ন ক্লাবে খেলে। যায়যায়দিন : এই ভাইরাসেও লোকজন নিয়মকানুন ঠিকমতো মানছে না। বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? ইব্রাহীম : আসলে শুধু নিজের জন্য নয়। পরিবারের কথা চিন্তা করেই সবাইকে নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত। কাজ না থাকলে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করা উচিত নয়।