ক্রিকেট মাঠে অনেক সেঞ্চুরি করেছেন, দাপুটে ব্যাটিংয়ে নিজেকে তুলেছেন অন্য রকম উচ্চতায়। জীবনের মাঠেও সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় ছিলেন স্যার এভারটন উইকস। কিন্তু জীবনের ইনিংস তার থেমে গেল নার্ভাস নাইনটিজে। ৯৫ বছর বয়সে বার্বাডোজে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার। গত বছরের জুনে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর সংকটাপন্ন জীবন পার করছিলেন তিনি। বুধবার সেই লড়াইয়ের অবসান হয়েছে তার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত 'থ্রি ডবিস্নউজ'-এর শেষ সদস্য হিসেবে বেঁচে ছিলেন স্যার এভারটন উইকস। ৯৫ বছর বয়সে তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন 'থ্রি ডবিস্নউজ'। এই ত্রয়ীর ব্যাটিং শক্তি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটকে নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায়। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট তো বটেই, ক্রিকেট বিশ্বেও তারা নিয়ে আছেন আলাদা জায়গা। অন্য দুই 'ডবিস্নউ'- স্যার ক্লাইড ওয়ালকট ও স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল আগেই পৃথিবী ছেড়ে গেছেন। আর শেষ সদস্য হিসেবে চলে গেলেন উইকস।
তিনজনই কাটিয়েছেন অসাধারণ ক্যারিয়ার। দারুণ রেকর্ডে নিজেদের সঙ্গে ক্রিকেটকে করেছেন সমৃদ্ধ। ওরেল ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম দীর্ঘমেয়াদি কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক, পরে হন জ্যামাইকার সিনেটর। অন্যদিকে ৫৬.৬৮ গড় নিয়ে টেস্ট থেকে অবসরে গিয়ে ওয়ালকট প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে বসেন আইসিসির চেয়ারে। তবে তিনজনের মধ্যে সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয় উইকসকেই।
অথচ ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকটা মোটেও সুখকর ছিল না তার। প্রথম তিন টেস্টে ব্যর্থ হলে বাদও পড়েন দল থেকে। তবে ভাগ্যের জোরে আবার ফিরে এসেছিলেন দলে। আরেক কিংবদন্তি জর্জ হেডলির চোটে শেষ টেস্টে সুযোগ পেয়ে যান উইকস। কিন্তু জ্যামাইকায় সেই টেস্টে মাঠে নেমে দুয়ো শুনতে হয়েছিল দর্শকদের!