এএফসি কাপ গ্রম্নপ পর্ব

আয়োজক হওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক এএফসি কাপ ২০২০ সালের গ্রম্নপ পর্বে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। ৬ ম্যাচের মাত্র একটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোকে মাঝামাঝি একটি ভেনু্যতে আয়োজন করার পরিকল্পনা এএফসির। ইতোমধ্যে গ্রম্নপের অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তারা। যে কারণে আয়োজক হওয়ার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সামনেও। তবে আয়োজক হতে সব নিয়ম মেনে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। কিংসের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। এএফসি কাপে গ্রম্নপ পর্বে 'ই' গ্রম্নপে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে আছে আরও দুই দেশের তিনটি দল। এএফসি সব কটি দেশকেই সুযোগ দিচ্ছে আবেদন করার। তবে তার জন্য এএফসির বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, 'আমাদের সাউথ এশিয়ান জোন থেকে গ্রম্নপ 'ই'তে চারটি দল খেলছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বসুন্ধরা কিংস। ভারত থেকে চেন্নাই সিটি এফসি এবং মালদ্বীপ থেকে দুটি ক্লাব যথাক্রমে মাজিয়া স্পোর্টস এবং টিসি স্পোর্টস ক্লাব রয়েছে। এ চারটি দলের খেলা একটি সেন্ট্রাল ভেনু্যতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আয়োজক হতে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে এএফসির কাছে আবেদন করতে হবে। ৩১ জুলাই এএফসি সিদ্ধান্ত নিয়ে সব দেশকে জানাবে।' ২৪ অথবা ২৫ নভেম্বর ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল। ২ ডিসেম্বর জোনাল সেমিফাইনাল। এবং ১২ ডিসেম্বর এফসি কাপের ফাইনাল আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত এএফসি আগে নিয়েছিল সেটি তারা ফলো করবে। আমাদের গ্রম্নপের চার দলের তিনটি দেশের মধ্যে যারা আয়োজক হতে আগ্রহী সেই আয়োজক দেশ বা বিটিং মেম্বর এসোসিয়েশনের বিষয়ে এএফসি বেশ কিছু ক্যাটাগরি উলেস্নখ করে দিয়েছে। আয়োজক দেশে অবশ্যই অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশের ক্লাবগুলো এএফসির অফিসিয়াল এবং ম্যাচ অফিসিয়ালরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। কোনো ট্রাভেল রেস্ট্রিকশন যেন না থাকে, সে বিষয়ে আবেদন করার আগে অবশ্যই যেন খেয়াল রাখা হয়। অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে আয়োজক দেশের কোভিড ১৯ পরিস্থিতি অবশ্যই আমলে নেবে এএফসি। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ক্লাব, অফিসিয়ালদের অবশ্যই চার দিন আগে ম্যাচ ভেনু্যতে পৌঁছতে হবে। সেখানে হোস্ট দেশ কর্তৃক কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং তাতে সবার অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানান সোহাগ। এএফসি ইতোমধ্যে ৫টি ম্যাচের জন্য ১৩ দিনের একটি সিডিউল দিয়েছে। সেটি হলো ১৯ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর। এর মধ্যে প্রথম চার দিন কোনো ম্যাচ হবে না। এ বিষয়ে সোহাগ বলেন, 'গ্রম্নপ 'ই'র প্রতিটি দলের যেহেতু ৫টি করে ম্যাচ এখনো বাকি আছে। সেই ৫ ম্যাচ ডের জন্য এএফসি ১৩ দিনের একটি সিডিউল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২৩, ২৬ ও ২৯ অক্টোবর এবং ১ ও ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো।' আয়োজক হওয়ার সুযোগটা বাংলাদেশ কাজে লাগাবে কি না জানতে চাইলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে বসুন্ধরা কিংসকে জানিয়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখব এ সময়ের মধ্যে আমাদের পক্ষে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব কি না। কিংস ও বাফুফে কর্তৃক যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে ফুটবল মৌসুম পরিত্যক্ত হওয়ায় আগামী ২০২১ সালের এএফসি কাপে বাংলাদেশের একটি কোটা নষ্ট হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এএফসি সব বিষয়েই অবগত আছে। তাই তারা আরেকটি ক্লাবকে সুযোগ দিতে পারে। তবে তার জন্য অবশ্যই ক্লাবটিকে হতে হবে এএফসির লাইসেন্স প্রাপ্ত। ২০২১ সালের জন্য এএফসি লাইসেন্সিংয়ের কথা বললে বাফুফে প্রিমিয়ার লিগের ১৩ দলকেই চিঠি দিয়েছিল। বুধবার ছিল আবেদনের শেষ দিন। এরই মধ্যে ৯টি ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য আবেদন করেছে এরা হচ্ছে- বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ড সোসাইটি, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও উত্তর বারিধারা ক্লাব।