বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০১১

তদন্ত বাতিল করল শ্রীলংকা পুলিশ

কারো কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের কোনো প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। আর তাই প্রমাণের অভাবে শ্রীলংকা পুলিশ এই তদন্ত বাতিল করে দেয়।

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের আগে কুমার সাঙ্গাকারা
সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগের পর শ্রীলংকার পুলিশ ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ফিক্সিং নিয়ে তদন্তে নামে। সেই তদন্তে গত কয়েকদিনে বিশ্বকাপের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাসহ বেশ কয়েকজনকে শ্রীলংকা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করে। কিন্তু কারো কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের কোনো প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। আর তাই প্রমাণের অভাবে শ্রীলংকা পুলিশ গতকাল শুক্রবার এই তদন্ত বাতিল করে দেয়। সেই সঙ্গে 'বিশ্বকাপ ফাইনাল বিক্রি হয়েছে'- বলে শ্রীলংকার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিনদানান্দা অথুলগামাগে যে অভিযোগ করেছিলেন সেটা বাতিল হয়ে গেল। সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী হঠাৎ কিছুদিন আগে শ্রীলংকার স্থানীয় একটি টিভিতে অভিযোগ করে বসেন, '২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল বিক্রি করা হয়েছিল।' মন্ত্রী তার অভিযোগে অবশ্য দলের কোন ক্রিকেটার এই বিক্রিবাট্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা উলেস্নখ করেননি। শুধু বলেছেন, একটা অংশ অবশ্যই এতে জড়িত ছিল। মন্ত্রীর এই অভিযোগের পর শ্রীলংকা সরকার এই অভিযোগ তদন্তের জন্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইফনিটকে (এসআইইউ) দায়িত্ব দেয়। পুলিশ সেই তদন্ত কাজে সাবেক প্রধান নির্বাচক অরবিন্দু ডি সিলভা, বিশ্বকাপের সেই ফাইনালের ওপেনার উপুল থারাঙ্গা, অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা এবং ফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান মাহেলা জয়াবর্ধনেকেও লম্বা সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা সবাই পুলিশের কাজে সহযোগিতা করেন। এই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শ্রীলংকার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'আমরা অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ফাইনাল ম্যাচে কেন দলে বদল করা হয়েছিল সেই ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছি। তারা ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেই ব্যাখ্যায় আমরা সন্তুষ্ট। সব শুনে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এখানে কোনো ভুল নেই। তদন্ত চালিয়ে আমরা কোথাও কারো কোনো দোষত্রম্নটির কোনো প্রমাণ পাইনি। এই তদন্ত আর হবে না। বন্ধ।' নিজ দেশের ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছ থেকে এমন বাজে অভিযোগ আসার পর সেই বিশ্বকাপে খেলা শ্রীলংকার খেলোয়াড়রা চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তারপরও তারা পুলিশকে তদন্ত কাজে সহায়তা করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাঙ্গাকারা বললেন, সত্যের প্রকাশ দেখতে চান তিনি, 'আমি এখানে এসেছিলাম ক্রিকেটের প্রতি দায়িত্ববোধ ও সম্মান থেকেই। আশা করি, তদন্ত শেষে মাহিন্দানন্দার অভিযোগ নিয়ে সত্যটি বেরিয়ে আসবে।' সাঙ্গাকারার আগে আরেক সাবেক অধিনায়ক ও ওই সময়ের প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৬ ঘণ্টা, ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গাকে ২ ঘণ্টা।