শিরোপার আরও কাছে রিয়াল

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধারের খুব কাছে চলে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। রোববার রাতে কিছু সময়ের জন্য চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা থেকে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল জিদানের দলটি। তবে একই রাতের পরের খেলায় বার্সা জয় তুলে নেওয়ায় ব্যবধান আগের মতো ৪ পয়েন্টই থাকল। কিন্তু অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে জয় পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে রিযালকে। খেলার শেষ মুহূর্তে দলকে উদ্ধার করেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। আগের ম্যাচেও কঠিন পরীক্ষার মুখে দলকে পথ দেখান সার্জিও রামোস। এবারও ঠিক একইভাবে সফল স্পট কিকে পার্থক্য গড়ে দিলেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। রোববার রাতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরার পাশপাশি আসরের শিরোপা পুনরুদ্ধারের আরও কাছে পৌঁছে গেল জিদানের দল। অ্যাথলেটিকের মাঠে রিয়াল সর্বশেষ জিতেছিল ২০১৭ সালে। গেলবার দুদলের লড়াই শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। তার আগের মৌসুমের ম্যাচটিও গোলশূন্য ড্র হয়েছিল তাদের। ৩৪ ম্যাচে ২৩ জয় ও আট ড্রয়ে রিয়ালের অর্জন ৭৭ পয়েন্ট। সমানসংখ্যক ম্যাচে বার্সার সংগ্রহ ৭৩। প্রথমার্ধে দুদলই করেছে বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ। করিম বেনজেমা ও রদ্রিগো সহজ সুযোগ নষ্ট করায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি লা লিগার ইতিহাসের সফলতম দল রিয়ালের। দলটির গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া রাউল গার্সিয়াকে হতাশ করায় স্বাগতিকরাও স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনতে পারেনি। বিরতির পর অবশ্য ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় অতিথিরা। কিন্তু আক্রমণে ধার না থাকায় জালের নিশানা ভেদ করে উঠতে পারছিল না তারা। অবশেষে অচলাবস্থা ভেঙে ৭৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে রিয়ালের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন রামোস। ডি-বক্সে মার্সেলো ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। লিগে শেষ ১২ ম্যাচে রামোসের এটি সপ্তম গোল। আসরে রিয়ালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল হলো ১০টি। লা লিগায় এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের মোট গোল হলো রেকর্ড ৭১টি। আর সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২২টি স্পট-কিক থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেন এই অভিজ্ঞ তারকা ডিফেন্ডার। ম্যাচ জয়ের পর রামোস বলেন, 'যেটা আমি ভাবি তা হলো তিন পয়েন্ট। (পেনাল্টি নেওয়া) সর্বোচ্চ উত্তেজনা এবং অনিশ্চয়তার মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি। যখন আমি সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি তখন আমি মনে করি যে এ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমি আদর্শ ব্যক্তি। তবে আমার কাছে দলের সামগ্রিক ফলাফল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি পেনাল্টি নিতে খুব পছন্দ করি এবং আমি আনন্দের সঙ্গে করে যেতে চাই। একটা ব্যাপারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাহলো দলকে জিততে সহায়তা করা।' আর নিজের ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে বলেন, 'ব্যক্তিগত স্বীকৃতি আমার কাছে দ্বিতীয় স্থানে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দলীয় লক্ষ্য অর্জন করা এবং প্রতিটি ম্যাচ, যা আমরা খেলি সেখানে তিনটি পয়েন্ট নিশ্চিত করা। ভাগ্যক্রমে, এই মুহূর্তে, আমরা সেই ফলাফলগুলো পাচ্ছি। যদি আমি স্বতন্ত্র স্বীকৃতি নিয়ে ভাবতাম তাহলে আমি সম্ভবত টেনিস খেলতাম। এটি একটি খুব সুন্দর খেলা, একটি দলীয় খেলা এবং এটি একটি দল হিসেবে জিততে পারাই খুব সুন্দর।'