অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে হকি খেলোয়াড়দের

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
হকির অনিশ্চয়তা যেনো কাটছেই না। খেলোয়াড়দের আয়ের অন্যতম মাধ্যম প্রিমিয়ার হকি লিগ। মাঝে ফেডারেশন-ক্লাব দন্দ্বে দু'বছর টার্ফে লিগই ছিল না। দীর্ঘদিন পর যখন সবে সুবাতাস বইতে শুরু করেছিল। তখনই করোনার হানা। একদিকে করোনা, অন্যদিকে লিগ বন্ধ। তাই সবমিলে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে হকি খেলোয়াড়দের। যত দ্রম্নত সম্ভব লিগ শুরুর দাবি আশরাফুল নাইমদের। ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ জানিয়েছেন সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই টার্ফে গড়াবে হকি লিগ। করোনার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। মাঠে নেই ফুটবল। ক্রিকেট লিগও স্থগিত। ছোট খাটো ফেডারেশনগুলোও এখন তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। হকির মতো সম্ভাবনাময় খেলাটিতেও পড়েছে মহামারীর প্রভাব। করোনার আগেই আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার কারণে ঘরোয়া হকিতে কিছুটা অমনোযোগী ছিল হকির বর্তমান কমিটি। দ্বিতীয় বিভাগ ও স্কুল হকি ছাড়া ঘরোয়া আর কোনো খেলাই মাঠে গড়ায়নি। দেশের হকির সর্বোচ্চ আসরটিও (প্রিমিয়ার লিগ) টার্ফে গড়িয়েছিল দু'বছর আগে। অথচ দেশের হকি খেলোয়াড়দের রুটি-রুজির অন্যতম মাধ্যম হলো এই প্রিমিয়ার লিগ। দু'বছর লিগ বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন হকি খেলোয়াড়রা। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় যত দ্রম্নত সম্ভব লিগ শুরুর দাবি নাইম-আশরাফুলদের। হকি খেলোয়াড় আশরাফুল ইসলাম বলেন,'পুরো একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি আমরা। লিগ যত তাড়াতাড়ি হয় তা আমার জন্য ভালো। যে যাই বলুক দিন শেষে সবাই কিন্তু টাকার জন্যই খেলে। যত তাড়াতাড়ি দল-বদল হয় তা আমাদের জন্য ভালো। ফেডারেশনের কাছে আমাদের অনুরোধ লিগটা যাতে প্রতি বছরই হয়। লিগটা না হলে আমাদের মনোযোগের উপর প্রভাব পড়ে।' হকি খেলোয়াড় নাইমউদ্দিন বলেন,'আমাদের দেশের সব হকি খেলোয়াড়দের আর্থিক অবস্থা তো আর একরকম না। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ঘরোয়া হকির উপর নির্ভরশীল। সবারই তো পরিবার আছে। লিগ না থাকলে পরিবার চালানো কঠিন হয়ে যায়। লিগটা নিয়মিত হলে আমরা সবাই উপকৃত হই।' এদিকে, নানা জটিলতায় ফেডারেশনও সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। তারপরও সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই আবারো টার্ফে গড়াবে হকি পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগ শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'আমরা সরকারের সবুজ সংকেতের দিকে তাকিয়ে আছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক খেলোয়াড় একত্রিত করা কঠিন। সরকার বা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যতক্ষণ আমাদের কোনো নির্দেশনা না দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এটা নিয়ে এগোতে চাচ্ছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা ক্লাব গুলোর সঙ্গে বসবো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রিমিয়ার লিগ যাতে টার্ফে গড়ায়। এ ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে ক্লাব গুলোকে চিঠি দিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এ বিষয়ে আমরা কাজ করবো।'