পাওনা পারিশ্রমিক চাইছেন ক্রিকেটাররা

শর্ত অনুযায়ী, চুক্তির সময় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ৫০ ভাগ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম দোলেশ্বরের কয়েকজন ক্রিকেটার ছাড়া বেশিরভাগ ক্লাবের ক্রিকেটাররাই টাকাটা পাননি।

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিরতি কাটিয়ে ক্রিকেট মাঠে ফিরলে সেটি যেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) দিয়েই হয় সে অনুরোধ তামিম-সৌম্য-লিটনদের। দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী এক মাসের মধ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরুর কোনো সম্ভাবনা নেই। যা বুঝে গেছেন ক্রিকেটাররা, মেনেও নিয়েছেন। যেজন্য লিগ শুরুর দাবিও তুলছেন না তারা। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের অনুরোধ, বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় যেন চুক্তির ৫০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) অনলাইন সভায় অংশ নিয়েছিলেন সাবেক ও বর্তমান তারকা ক্রিকেটাররা। পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটি তাদের দাবি তুলে ধরেছে। শর্ত অনুযায়ী, চুক্তির সময় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ৫০ ভাগ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম দোলেশ্বরের কয়েকজন ক্রিকেটার ছাড়া বেশিরভাগ ক্লাবের ক্রিকেটাররাই টাকাটা পাননি। আর তাই পাওনা টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিতে লিগের আয়োজক সিসিডিএমের কাছে ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করবে কোয়াব। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ মাঠে গড়ায় প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ড। সেটিই দেশের ক্রিকেটারদের শেষ মাঠে নামা। পরে করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন সবাই। বন্দিদশা এখনো শেষ হয়নি। জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া লিগের ১২ ক্লাবের প্রায় দেড়শ ক্রিকেটারের রুটি-রুজির প্রধান উৎস এই প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। অনির্দিষ্টকালের জন্য সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদল অনুষ্ঠিত হয়েছে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে। দলবদলের শর্ত অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাবকে চুক্তির সময় মোট পাওনার ৫০ ভাগ মিটিয়ে দেওয়ার কথা। বাকি ২৫ ভাগ লিগের মাঝামাঝি ও অবশিষ্ট ২৫ ভাগ লিগের শেষে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, গাজী গ্রম্নপ ক্রিকেটার্স, আবাহনী লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, প্রাইম দোলেশ্বর ব্যতীত আর কোনো ক্লাবই এই নিয়মের ধার ধারেনি। তাইতো ক্রিকেটারদের এমন দুঃসময়ে ওই ক্লাবগুলো যেন চুক্তির ৫০ ভাগ পাওনা পারিশ্রমিক পরিশোধ করে সেজন্য ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রো পলিসের (সিসিডিএম) কাছে অনুরোধ করবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। ৭ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরানো প্রসঙ্গেও। এক্ষেত্রে অবশ্য ক্রিকেটাররা বোর্ডের উপরেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছেন।